টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনল নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড।শ্রীলংকার বিপক্ষে গ্রুপ-১ এ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নেমে ২৬ রানের জয় পেয়েছে ইংলিশরা।আর তাতেই চার ম্যাচে চার জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত ইয়ন মরগানের দলের।নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে,দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে, তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড।তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামে ইংলিশরা।আনঅফিসিয়ালি প্রথম তিন ম্যাচ জয়ের পরেই ইংলিশদের সেমিফাইনাল এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়।অপেক্ষা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার। শ্রীলংকাকে ২৬ রানে হারিয়ে সেটিও সেরে ফেললো ইংলিশরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলারের শতকে ভর করে ৪ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাত করতে নেমে ১৯তম ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা।শ্রীলংকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লে’র ভেতরেই মাত্র ৩৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় ইংলিশরা। তবে চতুর্থ উইকেটে জস বাটলার এবং অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের ১১২ রানের জুটিতে ইংলিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৩ রানে।ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন জেসন রয়। এরপর ইংলিশদের রানের চাকা কিছুটা ধীর হয়ে যায়। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দাভিদ মালান ৮ বলে ৬ রান করে ফিরলে ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংলিশরা। চামিরার বলে বোল্ড হন মালান। বিপর্যয় বাড়ে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের হাসারাঙ্গার করা দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন জনি বেয়ারেস্টো। এতেই মাত্র ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।এরপর চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে নিয়ে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১১২ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। ৩৬ বলে ৪০ রান করে মরগান হাসারাঙ্গার শিকার হয়ে ফেরেন। তবে উইকেটের অপরপ্রান্তে ঠিকই তাণ্ডব চালাতে থাকেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার।
লংকানদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ওয়াইনিন্দু হাসারাঙ্গা। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া একটি উইকেট নেন দুশ্মন্থ চামিরা। ৪ ওভারে তিনি দেন ৪৩ রান।১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কাকে রানআউট করে ফেরান ইয়ন মরগান। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় মাত্র ১ রানের মাথায় ফেরেন এই ওপেনার। এরপর চরিথ আসালাঙ্কা এবং কুশাল পেরেরা মিলে জুটির গড়ার চেষ্টা করলে তা ধূলিসাৎ করে দেন আদিল রশিদ। ১০ রানের ব্যবধানে আসালাঙ্কা (২১) এবং পেরেরা (৭) ফেরান রশিদ। এতেই পাওয়ার প্লে’র ভেতরেই ৩ উইকেট হারায় লংকানরা।এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আভিস্কা ফার্নান্দো এবং ভানুকা রাজাপাকশে। তবে ৯ম ওভারে ক্রিস জর্ডান আভিস্কাকে (১৩) ফেরালে ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারায় লংকানরা। এর এক ওভার পরেই রাজাপাকশেকে ফেরান ক্রিস ওকস। এতেই লংকানদের জয়ের পথ সংকুচিত হয়ে আসে।তবে ষষ্ঠ উইকেটে দাসুন শনাকা এবং ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গা মিলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে লংকানদের জয়ের আশা দেখান। তবে ১৭তম ওভারে হাসারাঙ্গাকে (৩৪) লিভিংস্টোন ফেরালে জয়ের পাল্লা আবারও ইংলিশদের দিকে ভারি হয়ে যা। পরের ওভারে শনাকা (২৬) রান আউট হলে লংকানদের জয়ের প্রদীপ নিভে যায় অনেকটাই।শেহ দিকে মইন আলী দুটি আর ক্রিস জর্ডান এক উইকেট নিলে এক ওভার বাকি থাকতেই ১৩৭ রানে অলআউট হয় লংকানরা। এতেই ২৬ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড।ইংলিশদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মইন আলী, আদিল রশিদ এবং ক্রিস জর্ডান। আর একটি করে উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান এবং লিয়াম লিভিংস্টোন।