সরকারের আর সময় নেই: গয়েশ্বর

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, জিয়াউর রহমানের খেতাবে হাত দিলে সেই হাতে ফোসকা পড়বে, আগুনে পোড়ার মতো ছাঁই হয়ে যাবে। এরা যে কত বড় একটা মহাকলঙ্কের তিলক নিজেদের কপালে আঁকার চেষ্টা করছে এখনো বুঝছে না। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনেই এই সরকারের প্যাথলজি টেস্ট হয়ে গেছে। সরকারের আর সময় নেই।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক বিক্ষোভ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলে সরকারি চেষ্টার প্রতিবাদে সভার আয়োজন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই দেশটা প্রজাতন্ত্রের, সেই প্রজাতন্ত্রের নাম বাংলাদেশ। বাংলদেশের মালিক জনগণ। সেই জনগণের মালিকানা ফেরত আনার জন্যই আমাদের আগামী পথ চলতে হবে। তাতে বাঁধা আসবে, তা অতিক্রম করতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। সেই গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, জিয়ার বাংলাদেশ জনগণের সামনে হাজির করতে হবে। এটাই হবে আমাদের জন্য বেস্ট রিভেঞ্জ। আমাদের অন্য কোনো প্রতিশোধ নাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকা পালনের আহবানও জানান তিনি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের মানুষ জেলখানার মধ্যে না থাকলেও এক ধরনের অদৃশ্য একটা ভাব আছে। কে কখন গুম হয়ে যায়। আসলে এই সরকারের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়। এভাবে করে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, কর্মসূচির কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। আমাদেরকে জায়গা দেবেন না। এই বিস্তৃত বাংলাদেশে একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরা জায়গা দেয়নি। প্রত্যেকটি জায়গা আমাদের দুর্গ, সেসব দুর্গ থেকে আপনাদেরকে মোকাবিলা করা হবে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নাগরিক নয় বলে নৌপ্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় বিক্ষোভ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, তমিজউদ্দিন আহমেদ, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।

Advertisement