ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আইসিসির নিয়ম ভাঙায় ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ধারণা করা হচ্ছে, ১৮ মাস নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন তিনি। এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবন থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নাজমুল হাসান বলেন, আমরা এখনো এ নিয়ে আইসিসির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাইনি।তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না। তবে এটুকু মাথায় রাখেন আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটা একান্তই ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার বিষয়। সে সহযোগিতা চাইলে আমরা প্রস্তুত আছি।
২০১৭ সালে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় মোস্ট ওয়ান্টেড এক জুয়াড়ি। অবশ্য সেটা গ্রহণ করেননি তিনি। তবে বিপত্তিটা বাঁধে অন্য জায়গায়। সঙ্গে সঙ্গে নিজ বোর্ড কিংবা আকসুকে সেটি জানাননি অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এ ব্যাপারে ওই সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হলেও বিষয়টি অস্বীকার করেন সাকিব। পরে তার ফোন কল ট্র্যাক করে ঘটনার সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন ইউনিট। স্বভাবতই চটেছে তারা। তাকে ১৮ মাস নিষিদ্ধের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আকসু।
বিষয়টি হালকাভাবে নেয়ায় এমন শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাকিবকে।তার ব্যাপারে আইসিসি কঠিন। কারণ এ বিষয়ে ২৫টির মতো প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি।এরই মধ্যে শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করতে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আইসিসির আইন অনুযায়ী, বাজিকররা কোনো ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর অফার করলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে জানাতে হয়। এটা গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছরও আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে পারেন ক্রিকেটার।