সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে ব্রিটেনে ঈদের নামাজ আদায়

মো: রেজাউল করিম মৃধা ॥ যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস মহামারির সরকারি বিধিনিষেধ মেনে সামাজিক দূরুত্বকে গুরুত্ব দিয়ে ব্রিটেনের সব শহরের সকল মসজিদগুলিতে ২ থেকে ৪ টি করে ঈদের নামাজ এবং কিছু কিছু খোলা মাঠেও কুরবানীর ঈদের নামাজ আদায় করেন ব্রিটেনের মুসলিমরা।

শুক্রবার ব্রিটেনসহ ইউরোপে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে গত ঈদুল ফিতরের নামাজ মসজিদে আদায় করতে পারেননি মুসল্লিরা। তবে লকডাউন শিথিল হওয়ায় এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে ঈদুল আযহার নামাজ পরার সুযোগ পেয়েছেন ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়।

তবে নর্থ ইংল্যান্ডের কিছু কিছু জায়গায় সরকারি বিধিনিষেধের কারনে মসজিদে নামাজ পড়া থেকে বিরত ছিলেন মুসল্লিরা। নামাজ না পড়তে পেরে অনেকেই ক্ষোব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্তি করেছেন। তারা বলছেন, কম সময়ের নোটিশে জামাতে নামাজ আদায় করতে না দেয়ায় ঈদের আনন্দই মলিন হয়েগেছে। আর সরকার বলছে, নর্থ ইংল্যান্ডে আবারো করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে আবারো একে অন্যের ঘরে যাওয়া পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ডে খোলা মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত না হলেও নিউহাম, ডেহেনহাম ও রেডব্রিজ এলাকায় খোলা মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং সরকারের বেধে দেয়া নিয়মের কারনে টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামাতের সংখ্যা এবং মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারন করা হয়। মসজিদে প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক মুসল্লির তাপমাত্রা পরিক্ষা করা হয়। এছাড়া মুসল্লিরা ঘরে ওজু পড়ে জায়নামাজ, জুতার ব্যাগ এবং মাস্ক সাথে করে নিয়ে আসেন। একই সাথে ১২ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধদের মসজিদে কম দেখা যায়।

অনেকটা নতুন নিয়মে ঈদের জামাত আদায় করে বেশ আনন্দিত ছিলেন মুসল্লিরা। তারা এই ধরনের ঈদের জামাত আর কখনো আদায় করেননি।
ইস্ট লন্ডন মস্ক এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারে এ বছর জামাতের সংখ্যা কমিয়ে ৪টি করা হয়। জামাতগুলো সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা, সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে ৬৩২ জন পুরুষ ও ১৭০ জন মহিলা নামাজ পড়তে পারবেন। ব্রিকলেন জামে মসজিদে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১১টায় মোট চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এই আনন্দ এবং খুশি মুসলিম সবাই ভাগাভাগি করে নেন। সেটা যে পরিস্থিতি হোক না কেন? ঈদের আনন্দ আমাদের চাই ই চাই। গত রমজানের ঈদের নামাজ যার যার ঘরে আদায় করা হয়েছিল। কোরবানীর ঈদ সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে মসজিদে এবং খোলা মাঠে আদায় করা অবশ্যই মহা আনন্দের। সবাইকে ঈদ মোবারক।

Advertisement