অসত্য তথ্য, অপপ্রচার ও যাচাই-বাছাইহীন সংবাদ ও মতামত প্রকাশসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যে সব ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে, সেসব কীভাবে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে মোকাবেলা করা যায় তেমন ক’টি বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় দলের সভাপতি ডেমিয়ান কলিন্স।
লন্ডন সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাউজ অব কমন্সে ডেমিয়ান কলিন্সের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে তা তুলে ধরে বলেন, ‘ড. হাছান মাহমুদ বলেন বাংলাদেশের সংবাদপত্র, টিভি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত যাতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেজন্য বিগত একদশকে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনও কখনও যে সব অপপ্রচার ও অসত্য তথ্য ও মতামত প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলো একদিকে যেমন সুস্থ গণমাধ্যমের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে ব্যক্তি সমাজ ও দেশের স্থিতিশীল ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।’ তথ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য এক সাথে কাজ করতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন।
ডেমিয়ান কলিন্স বলেন ‘যুক্তরাজ্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, প্রেস মিনিস্টার মোহাম্মদ আশেকুন নবী চৌধুরী, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর দেওয়ান মাহমুদ ও প্রথম সচিব মোঃ শফিউল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলা সাংবাদিকতার দীর্ঘ ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করেন এবং এ ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে এখানকার বাংলাভাষী সাংবাদিকরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তার প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাব বাংলাদেশের বাইরে বাংলা ভাষী সাংবাদিকদের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান এবং এ প্রেসক্লাবের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করবে।’
যুক্তরাজ্য থেকে বেলজিয়াম ও ফ্রান্স সফরকালে ব্রাসেলসে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠির সাথে সভা ও প্যারিসে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করবেন ড. হাছান মাহমুদ। সফরশেষে ৯ জুলাই মঙলবার তার দেশে ফেরার কথা।প্রেস রিলিজ