সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচারে এগিয়ে নৌকা, লাঙ্গল ও হাতপাখার প্রার্থী। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মাঠের প্রচারে এগিয়ে আছে। তবে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনও বসে নেই। তারা দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও অনুসারীদের নিয়ে মাঠে মরিয়া। তাদের চেষ্টা নৌকাকে আটকে দেওয়া। এ লক্ষ্যে তারা প্রচারে নতুন নতুন বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রতিশ্রুতিতেও ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নৌকার প্রার্থীকে।মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লাঙ্গল প্রতীকে নজরুল ইসলাম বাবুল, হাতপাখা প্রতীকে হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবাই বর্তমান মেয়র আরিফুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তার সমালোচনা করছেন না কেউই।বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ক্ষমতাসীন দলে অনেকটা আনন্দের ঝড় উঠেছিল। ধারণা করা হয়েছিল অনেকটা একতরফা নির্বাচন হবে। কিন্তু মাঠের চিত্র নৌকাকে টেনশনে ফেলে দিয়েছে। কারণ বিএনপি ও আরিফের ব্যক্তিগত ভোটারদের কাছে টানতে পারছেন না নৌকার প্রার্থী। এই সুযোগে লাঙ্গল ও হাতপাখার প্রার্থীরা টার্গেট করেছেন আরিফের ভোটারদের।
স্মার্ট সিটির স্লোগান নিয়ে রোববার নগরীর টিলাগড়সহ বেশকিছু এলাকায় গণসংযোগ করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি টিলাগড় এলাকার ব্যবসায়ী, বাসিন্দা ও পথচারীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান। টিলাগড় পয়েন্টে পথসভায় তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় নির্বাচিত হলে সিলেটকে একটি স্মার্ট সিটি হিসাবে গড়ে তুলতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. আব্দুল মোমেনও উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক। গণসংযোগকালে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম প্রমুখ তার সঙ্গে ছিলেন।এদিকে পেশিশক্তি নয়, ভোটই শক্তি-এমন স্লোগান নিয়ে গণসংযোগে ছিলেন লাঙ্গল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিনিয়ত অন্য প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। নগরীর এতিম স্কুল রোডের সিটি আবাসিক এলাকা, বৃহত্তর বাগবাড়ীর নরশিং টিলা এলাকায় গণসংযোগকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।হাতপাখার প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান মেজরটিলা বাজার, টিলাগড় এলাকায় প্রচার চালান। তিনি বলেন, গত ২০ বছরে যা হয়নি নির্বাচিত হলে ৫ বছরে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন হবে। তার সঙ্গে গণসংযোগে ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা।এদিকে আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফের প্রচারে নেমেছেন মেয়র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। তিনি হরিণ প্রতীকের সমর্থনে জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, সুরমা মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন।