বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীর কাঁঠালবাড়ীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (৩ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সর্বশেষ মরদেহটি তার স্বজনেরা বুঝে নিয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মৌলতীকান্দি এলাকার আজিত মোল্লার ছেলে আলম মোল্লা (৩৮), একই উপজেলার গুয়াতলা এলাকার আদম আলী মোল্লার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪২), রাজৈর শঙ্কারদি এলাকার তারা মিয়া মীরের ছেলে তাহের মীর (৩০), সদর উপজেলার শ্রীনদী এলাকার আবদুল মান্নান মোল্লার ছেলে আবদুল আহাদ (৩০), খুলনার তেরখাদা উপজেলার পারুফল এলাকার মৃত আলম মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৩৮), মনির মিয়ার স্ত্রী হীনা বেগম (৩৬), তাঁদের মেয়ে রুমি আক্তার (৩) ও সুমি আক্তার (৫), ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মাইগ্রো এলাকার মৃত পান্নু সরদারের ছেলে আরজু সরদার (৪০) এবং আরজুর দেড় বছর বয়সী ছেলে ইয়ামিন, বরিশালের বন্দর থানার তেদুরিয়া এলাকার মো. আলী আহমেদের ছেলে আনোয়ার চৌকিদার (৫০), বানারীপাড়া উপজেলার হাশেম ব্যাপারীর ছেলে আলাউদ্দিন ব্যাপারী (৪৫), চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার মোহনপুর এলাকার মৃত আলী হোসেন ব্যাপারীর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রাজাপুর এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে জোবায়ের মোল্লা (৩০), কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ইউসুফপুর এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৮), দাউদকান্দি উপজেলার মাইখারকান্দি এলাকার মৃত আবদুল হাশেমের ছেলে মো. কাওসার আহমেদ (৪০), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৩৬), মুন্সিগঞ্জের সাতপাড় এলাকার চান মিয়া শেখের ছেলে সাগর শেখ (৪১), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আশা এলাকার রত্তু হোসেনের ছেলে সাইদুল হোসেন (২৭), একই উপজেলার পূর্বষট্টি এলাকার সাদেক ব্যাপারীর ছেলে রিয়াজ হোসেন (৩৩) ও সাইফুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার মনির হোসেন (৩৫), ঢাকার পীরেরবাগ এলাকার নুরে আলমের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৫), ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুস শিকদারের ছেলে নাসিরউদ্দিন (৪৫), পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার চরখানা এলাকার মো. ওহিদুরের ছেলে বাপ্পী (২৮) এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পসারিয়াবুনিয়া এলাকার রঞ্জন অধিকারীর ছেলে জনি অধিকারী (২৬)।
শিবচর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত সকল মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিশু মীমের পরিবারের ৪ সদস্যের লাশসহ শিবচর উপজেলা প্রশাসনের তত্তাবধানে খুলনার তেরখাদা উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে থানা থেকে শিশু মীমের অন্যান্য স্বজনেরা মরদেহ বুঝে নেবে।এদিকে শিবচর থানা সূত্রে জানা গেছে, স্পিডবোটটির চালক শাহালমকে গুরুতর আহতাবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ প্রহরায় তাকে ফরিদপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন,’আজকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছিল। ২৬ জনের পরে আর কোনো মরদেহ উদ্ধার হয়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস মঙ্গলবার সকালেও আরেক দফা অভিযান চালাবে।