ডা. শাহ মনির হোসেন ::
পরীক্ষার সুযোগ ও আওতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্ত। ফলে এখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়ছে। এখন আর ধীরগতিতে এগোনোর কোনো সুযোগ নেই। সরকার সেদিকে নজর রেখেই আরো আগে থেকে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত রোগী যা আছে তাতে সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু সামনের দিকে তাকিয়ে দ্রুত বাকি প্রস্তুতি সেরে ফেলা জরুরি। এর সঙ্গে নাগরিকদের জন্য একটি বিষয় মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি, সেটা হচ্ছে—উপসর্গ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবার হাসপাতালে ছোটাছুটির প্রয়োজন নেই। কেবল যাদের আগে থেকে বিভিন্ন রোগের জটিলতা আছে কিংবা যাদের শ্বাসকষ্টের উপসর্গ আছে তাদের জন্য হাসপাতালে যাওয়া জরুরি। এই বিষয়টি মনে রাখলে সবার জন্যই উপকার হবে। যাদের জরুরি তারা যেমন চিকিৎসা পাবে, আবার হাসপাতাল বা চিকিৎসাকর্মীদের ওপরও চাপ কমবে। যাদের সাধারণ জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা তারা বাসায় বসেই হালকা কিছু চিকিৎসা নিতে পারে। এমনকি যাদের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে বা আসবে তাদের মধ্যেও যদি জটিল কোনো রোগ কিংবা উপসর্গ দেখা না যায় তাহলে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বেশি দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। বাসায় বসেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে প্রয়োজন হলে তখন তাঁরাই হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। চিকিৎসাকর্মীদেরও এ বিষয়ে দায়িত্বশীলভাবে সজাগ থাকতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, করোনাবিষয়ক সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য