২২ দিনে ওল্ডহ্যাম থেকে লন্ডনে এসে পৌঁছালেন আফরোজ মিয়া

ব্রিটবাংলা ডেস্ক: আর্তমানবতার সেবায় বড় এক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন ওল্ডহ্যামের বাসিন্দা আফরোজ মিয়া। শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি চ্যারিটি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন অনেক আগেই। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনের অসহায় এবং বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়া রোহিঙ্গাদের দু:খ দুর্দশার চিত্র খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এসব অসহায় এবং হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতেই এবার ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নেন আফরোজ মিয়া। ইংল্যান্ডের চ্যারিটি সংস্থা গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের জন্যে ফান্ড রেইজিংয়ের লক্ষ্য নিয়ে রোজা রেখে ওল্ডহ্যাম থেকে ৩শ ১৩ কিলোমিটার দৌঁড় শুরু করেন তিনি। প্রথম রামাদানে ওল্ডহ্যাম থেকে দৌড় শুরু করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লাইলাতুল কদরের রাতে চ্যানেল এস স্টুডিওতে এসে পৌঁছান তিনি। ২২ দিনে ওল্ডহ্যাম থেকে লন্ডনে পৌঁছান। আফরোজ মিয়া জানালেন, এটা সম্ভব হবে বলে তিনি নিজেও কখনো ভাবতে পারেননি। কিন্তু যাত্রা শুরুর করার পর কমিউনিটির মানুষের ভালোবাসা এবং সহযোগিতা তাকে প্রতিদিন নতুন প্রেরণা দিয়েছে। এ জন্যে তিনি বিভিন্ন শহরে যারা তাকে উৎসা যুগিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দৌঁড়ে যুগ দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ৪৭ বছর বয়সী আফরোজ মিয়া।শনিবার বিকেলে চ্যানেল এসে অফিসে পৌঁছার পর তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান চ্যানেল এস চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি এবং চ্যারিটি সংস্থা গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের ফাউন্ডার শাহিদ উর রাহমান। এ সময় তাঁর হাতে চ্যানেল এসের পক্ষ থেকে একটি সার্টিফিকেটও তুলে দেন চ্যানেল এস চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ জেপি। আফরোজ মিয়াকে সহযোগিতার জন্যে কমিউনিটির সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন তিনি।

১শ হাজার পাউন্ড সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে আফরোজ মিয়া দৌঁড় শুরু করেছিলেন। এই অর্থ দিয়ে বিশ্বের অন্তত ৮টি দেশের অসহায় এবং দরিদ্রদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেবে গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের ফাউন্ডার শাহিদ উর রাহমান জানালেন, বাঙালী কমিউনিটির মধ্যে আফরোজ মিয়া এই প্রথম আর্তমানবতার সেবায় এমন চ্যালেঞ্জিং কাজটি শুরু করেছেন। এটা অব্যাহত থাকবে এবং সমর্থন দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের প্রতিনিধিরা এই দানের অর্থ সরাসরি অসহায় দরিদ্রদের হাতে তুলে দিবে বলেও জানান তিনি।
আফরোজ মিয়া নিজেও আশা করছেন বাকী দিনগুলোতে তাঁর এই উদ্যোগের প্রতি একাত্মতা জানিয়ে দানশীল ব্যক্তিরা গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।

Advertisement