ব্রিটবাংলা ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে গত ২০১৩ সাল থেকে লিভারপুলের বাসিন্দা মাইকেল পাউয়েল মর্গানকে খুঁজছে ব্রিটেনের ক্রাইম এজেন্সি। তাকে গ্রেফতারের জন্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গত ২১ শে এপ্রিল গ্রেফতার করে দুবাই পুলিশ। গত ৮ বছর ধরে নকল পরিচয়ে তিনি দুবাইয়ে আত্মগোপন করেছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী মাইকেল আরো তিন ব্রিটিশ নাগরিককে নিয়ে নেদারল্যান্ডসের রটারডামে একটি ক্যাফে খুলেছিলেন। কিন্তু এই ক্যাফেটি সাধারণ মানুষের জন্যে ছিল না। সিকিউরিটি পরীক্ষা শেষে বিশেষ কিছু মানুষের যাতায়াত ছিল সেখানে। কিন্তু ক্যাফেতে বসে মূলত আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের বাণিজ্য হতে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। ড্যাচ পুলিশের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার পর ড্যাচ পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ২০১৩ সালে সেই ক্যাফেতে অভিযান চালায় ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি। এ সময় রবার্ট হেমিলটন নামে ৭১ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করা হয়। তিনি ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে তাকে মাদক পাচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে ৮ বছরের জেলদন্ড দেয় আদালত। কিন্তু মোগানসহ আরো এক ব্রিটিশ নাগরিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে পালিয়ে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি ২০১৭ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে আত্মসমর্পন করেন। মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে তাকে ১৪ বছরের জেল দেয় আদালত। ৫৮ বছর বয়সী রবার্ট গ্যারার্ড লিভারপুলের বাসিন্দা।
এই মামলার মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী হিসেবেই মাইকেল পাউয়োল মোগানকে এতোদিন খুঁজছিল পুলিশ। অভিযানের পর তিনি নকল পরিচয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। এটা নিশ্চিত হওয়ার পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির একদিন পরেই দুবাই পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। নকল পরিচয়ে আত্মগোপন করলেও তিনি সব সময় সিসিটিভি ক্যামেরা এড়িয়ে চলতেন।