কাজে ফিরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী : লকডাউন শিথিলের সম্ভাবনা নেই

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : কাজে ফিরেই লকডাউন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদিকে ইউকের শিশুদের মধ্যেও করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করেছেন ডাক্তাররা। অন্যদিকে বিদেশী যাত্রীদের ১৫ দিনের জন্যে কোরানটাইন বাধ্যতামূলক করেছে ব্রিটিশ সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন :
করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হয়ে সোমবার প্রথমবারের মতো ডাউনিং স্ট্রীটের বাইরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি ব্রিটিশ জনগনকে লকডাউনে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। দ্বিতীয় দফায় করোনা বৃদ্ধির আশঙ্কার ফলে খুব শিঘ্রই লকডাউন শিথিল করার সম্ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে আগামী কয়েকদিনের ভেতরে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে নির্ধারিত সময়ের চাইতে বেশি দিন নিজের ডেস্কে বসতে পারেননি বলেও দু:খ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ধন্যবাদ জানান কেবিনেটকে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৫ এপ্রিল লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ তিনি হাসপাতালে ছিলেন। এরমধ্যে তিন রাত তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকতে হয়েছে।
উল্লেখ্য ইউকেতে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭শ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শিশুদের করোনা লক্ষ্যণ :

এদিকে করোনা ভাইরাস শিশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন ডাক্তাররা। নর্থ লন্ডনের একটি জিপি থেকে প্রথমবারের মতো এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুর শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষন ধরা পড়েছে বলে উল্লেখ করেছে দ্যা হেলথ সার্ভিস জার্নাল। পেটে ব্যাথা, ডাইরিয়াসহ আরো কিছু শারিরীক উপসর্গকে শিশুদের জন্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষ্যন বলে উল্লেখ করেছে হেলথ সার্ভিস জার্নাল।

বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কুরানটাইন


এদিকে বিদেশ থেকে ইউকেতে প্রবেশ করার পরপরই ১৪ দিনের কোরানটাইন বা সেল্ফ আইসোলিউশনে থাকাকে বাধ্যতামূলক করেছে ব্রিটিশ সরকার। গত ২৩ শে মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য এই নিয়মের ঘোষণা দিল সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যাত্রীদেরকে ইউকের ঠিকানা দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। যেখানে এসে তারা দু সপ্তাহ কোরানটাইনে থাকবেন। কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় এসে নজরদারী করবে। এছাড়াও এয়ারপোর্টে নামার সাথে সাথেই তাদের পরীক্ষা করা হবে।
এর আগে ইউকের আকাশ, জল এবং স্থলপথ খোলা ছিল। কোনো ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়াই অবাধে বিদেশী যাত্রীরা ইউকেতে প্রবেশ করেছেন। লকডাউনের পর অন্তত ৫শ ফ্লাইটে প্রতিদিন অন্তত প্রায় ১৫ হাজার যাত্রী ইউকেতে প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে ১৫ ফ্লাইট এসেছে বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এছাড়া স্পেন থেকে ২৫টি, ২৭টি ফ্রান্স এবং ৩২টি জার্মানি থেকে। অথচ এসব দেশে লকডাউন শুরুর সাথে সাথে সীমান্ত এবং সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement