ব্রিট বাংলা ডেস্ক : অসাম্প্রদায়িক ভারতবর্ষের দিল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের জনসাধারণকে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
ভারতে বিক্ষোভকারীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখার দাবিতে আয়োজিত ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বহুধর্ম বহু ভাষাভাষির দেশ ভারত আজ হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের ধর্মীয় উগ্রতার কারণে সাম্প্রদায়িক ভারতে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক উন্মাদনায় এখন রাজধানী দিল্লী জ্বলছে। অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল মানুষ মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে এই উগ্র অন্ধত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলা করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটের জন্য জনগণকে বিভক্ত ও সংঘাতে জড়িয়ে ফেলার ইতিহাস অনেক পুরনো। ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থান’ শ্লোগান তুলে বহু বৈচিত্র্যের ভারতকে ধ্বংস করছে তারা। কখনো বাবরী মসজিদ, কখনো পুলওয়ামা, কখনো কাশ্মির ইস্যু তুলে তারা হিন্দু মুসলিম বিভেদকে জাগিয়ে রাখছে। বৃহৎ কর্পোরেট মালিকদের শোষণ ও জনগণের দারিদ্র্য আড়াল করতে ধর্মীয় কার্ডকে বার বার ব্যবহার করছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিক কৃষক দরিদ্র মানুষ। এর পরিণতি ভয়ংকর হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ভারতের যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বাংলাদেশের নতজানু অবস্থানের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানর জানান।