ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কক্সবাজারের টেকনাফ পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানকালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় ঘটনাস্থল হতে মাইক্রোবাস, মাদক, অস্ত্র, কার্তুজ ও খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ গোপন সংবাদের হোয়াইক্যং ঝিমংখালী চিংড়ি প্রজেক্ট সংলগ্ন এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের মাদক কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের এসআই সুজিত (৩৫), এএসআই নাঈমুল হক (৩৯), ফখরুজ্জামান (৩১) ও কনস্টেবল সিকান্দর (২২) আহত হয়। এরপর পুলিশ সরকারি সম্পদ এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে মাদক কারবারীরা পালিয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থল তল্লাশি করে একটি মাইক্রোবাস (চট্টমেট্টো-চ-১১-৫০৮৯), ১৫ হাজার ইয়াবা, ২টি অস্ত্র, কার্তুজ ও খোসাসহ টেকনাফ পুরান পল্লান পাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে মাহমুদ উল্লাহ (২৫) ও হোয়াইক্যং ঝিমংখালীর জাফর আলীর ছেলে মিজানকে (২৪)গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
এরপর আহত পুলিশ সদস্য এবং গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারী চক্রের দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারী চক্রের সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে জব্দকরা মাইক্রোবাস থানায় নেওয়ার পথে হোটেল হিলটপ এলাকায় পৌঁছলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পুড়ে যায়। পরে ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান,তদন্ত করে এই ঘটনায় সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।