:: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী ::
করোনা ভাইরাস কিংবা COVID-19 এর ফলে ইউকেতে মানুষের জীবনযাত্রার পাশাপাশি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ একদিকে কর্মহীন হওয়ার পাশাপাশি, ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ ব্যবসাগুলো পড়েছে মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে। বলা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর সকল সরকারই এই মারাত্মক অর্থনৈতিক মান্দা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন রকমের অর্থনৈতিক প্রণোদনা ঘোষণা করছেন। ব্রিটেনও এর থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। সরকার মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পর্যায় ক্রমে অনেকগুলো প্যাকেজ ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন। এই প্যাকেজগুলো মূলত পাবলিক, ব্যক্তিবিশেষ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্টানগুলোকে সাময়িক এবং দীর্ঘ মেয়াদি অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়াই হলো মূল লক্ষ্য।প্যাকেজগুলো যদিও ব্রিটেনের বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তারপর ও অনেকের মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। আমি চেষ্টা করবো সকল প্যাকেজগুলোকে আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করার।
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক একনজরে কি কি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিম্ন লিখিত প্যাকেজগুলো ঘোষণা করা হয়েছে:
(করোনভাইরাস সময়কালে চাকরি ধরে রাখার প্রকল্প)
(ভ্যাট এবং সেলফ এসেসমেন্ট পেমেন্ট মুলতুবি)
(সেলফ এমপ্লয়মেন্টদের (স্ব–কর্মসংস্থান) আয় সহায়তা প্রকল্প)
(ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসায় (এসএমই) জন্য স্ট্যাটুটরি সিকপে বা অসুস্থকালীন বেতন ত্রাণ প্যাকেজ).
(ইংল্যান্ডের সমস্ত রিটেল, হসপিটালিটি, লেজার এবং নার্সারি সংক্রান্ত ব্যবসায়ের জন্য 12 মাসের বিজনেস রেট হলিডে)
(বিজনেস রেট রিলিফ প্রাপ্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য £10,000 পাউন্ড ব্যবসায়ীক অনুদান)।
(সমস্ত রিটেল, হসপিটালিটি, লেজার এবং নার্সারি সংক্রান্ত ব্যবসায়ী যাদের বিজনেস রেট £১৫,০০০.০০ থেকে £৫১,০০০.০০ তাদের জন্য £২৫,০০০.০০ পাউন্ড বিসনেস গ্রান্ট।
(করোনাভাইরাসের কারণে যে সকল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে ব্রিটিশ বিজনেস ব্যাংকের মাধ্যমে £৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোন প্রদান)
(বৃহত্তর ব্যবসা প্রতিষ্টানের জন্য করোনা ভাইরাসের সময়কালে নগদ অর্থ যোগান ও সরবরাহের জন্য ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের একটি নতুন লোন প্রদানের সুবিধা)
(এইচএমআরসির পাওনা পরিশোধের সময় বৃদ্ধি)
নিম্নে সরকার ঘোষিত প্যাকেজগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হলো:
করোনাভাইরাস সময়কালে জব রিটেনশন স্কিম প্রকল্পের মাধ্যমেব্যবসায়ের জন্য সহায়তা:
এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কোন এমপ্লয়ার তার কর্মচারিকে ২০২০ সালের মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে কমপক্ষে ৩ মাসের জন্য চাকুরীতে ধরে রাখতে পারবেন। চাকুরী থেকে বরখাস্ত না করে এমপ্লয়ার ইচ্ছা করলেক মপক্ষে ৩ মাস তার কর্মচারীকে বিশেষ ছুটি দিবেন এবং এই ছুটির সময়কালে সরকার থেকে কর্মচারী পাবেন মোট বেতনের ৮০ ভাগ আর এমপ্লয়ার দিবেন মোট বেতনের ২০ ভাগ। তবে মোট বেতন কোনক্রমেই মাসে £২৫০০ পাউন্ডের উপরে হবে না। এখানে কিছু শর্ত হলো এই ছুটি কালীন সময়ে কর্মচারী এই নির্ধারিত এম্প্লয়মেন্টে কোন কাজ করতে পারবে না। তবে অন্যকোন এমপ্লয়ারদের জন্য যে কাজ করতে পারবেনা এরকম কোন শর্ত আসে নাই।
কে ক্লেইম করতে পারবেন:
৮০% বেতন শুধুমাত্র এমপ্লয়ার সরকারের কাছ থেকে আনতে পারবেন, কোন কর্মচারী এমপ্লয়ার ছাড়া সরকার থেকে আনতে কিংবা ক্লেম করতে পারবেন না।
কারা এই আইনের আওতায় আসবেন:
সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যারা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ২৮ তারিখে যে কর্মস্থলে ছিলেন এবং যাদের কাজের তথ্য ঐ তারিখেরম ধ্যে এইচএমআরসিকে প্রদান করা হয়েছিলো শুধু মাত্ৰ সেই কর্মস্থলের এমপ্লয়ার ক্লেইম করতে পারবেন। অর্থাৎ মার্চ মাসের ১ তারিখ কিংবা তার পরে যদি কেউ কাজ শুরু করেন তাহলে তিনি যোগ্য হবেন না।
সরকার ৩ মাসের জন্য মূল্যবান সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদানস্থগিত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের ভ্যাট নিবন্ধিত সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান কিংবা ব্যক্তিবর্গ ২০২০ সালের ২০ মার্চ থেকে ৩০ জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত ভ্যাট পরিশোধের তারিখ ধার্য্য থাকলে তা পরিবর্তন করে পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে কেউ ইচ্ছে করলে নির্ধারিত তারিখেও দিতে পারবেন। এখানে উল্লেখ্য প্রায় সকল ব্যবসায়ীই ডাইরেক্ট ডেবিটের মাধ্যমে ভ্যাট পে করে থাকেন। সেক্ষেত্রে পরামর্শ হলো – আপনি যদি উপরোক্ত তারিখে দিতে না পারেন তাহলে আপনার ডাইরেক্ট ডেবিট বাতিল করবেন। অন্যতায় আপনারএকাউন্ট থেকে অটোমেটিক্যালি ভ্যাটের টাকা চলে যাবে। যদি কেউ এরকম বাতিল করেন তাহলে অবশ্যই পরবর্তী তারিখের আগে আবার সেটআপ করে নিবেন।
সেলফ এসেজমেন্ট পেমেন্টের সময় বৃদ্ধি:
ব্রিটেনে সাধারণত সেলফ এসেজমেন্ট পেমেন্ট ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এইচএমআরসিকে পরিশোধ করতে হয়। যদি কোন ব্যক্তি করোনভাইরাসের কারণে সেই তারিখের মধ্যে অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হয়। তাহলে ২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত পেমেন্ট স্থগিত করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এইচএমআরসির সাথে যোগাযোগ করার কোন প্রয়োজন নাই, কেউ ব্যর্থ হলে তা অটোমেটিক বৃদ্ধি হয়ে যাবে এবং কোন ধরণের জরিমানা আরোপ হবে না। তবে কেউ ইচ্ছে করলে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেও দিতে পারবেন।
সেলফ এমপ্লয়মেন্ট ইনকাম সাপোর্ট স্কিম:
সেল্ফ এমপ্লয়েডদের জন্য একটি গ্রান্ট দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যারা করোনা ভাইরাসের জন্য ইনকাম করতে পারেননি তাদেরকে সর্বোচ্চ প্রতি মাসে £২৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত দেয়া হবে।
কারা এই স্কিমের আওতায় আসবেন:
১. যারা ২০১৮–২০১৯ সালে সেল্ফএমপ্লয়েড হিসাবে কাজ করেছেন এবং সেল্ফ এম্প্লয়মেন্টের হিসাব এইচএমআরসিতে দাখিল করেছেন।
২. ২০১৯–২০২০ সালে সেল্ফএমপ্লয়েড হিসাবে কাজ করেছেন।
৩. ২০২০ – ২০২১ সালে সেল্ফএমপ্লয়েড হিসাবে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
৪. করোনা ভাইরাসের জন্য তাদের কাজ বন্ধ হয়েছে।
৫. ২০১৮ – ২০১৯ সালে সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট প্রফিট £৫০,০০০ পাউন্ডের কম এবং এই এমাউন্টের অর্ধেক টাকা সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট থেকে পেয়েছেন।
কত টাকা পাবেন:
২০১৬–২০১৭, ২০১৭–২০১৮ এবং ২০১৮–২০১৯ এই তিন বছরের মোট প্রফিট যোগ করে ৩ দিয়ে ভাগ করে, মাস প্রতি হিসাব করে সর্বমোট ৩ মাস ৮০% পাবেন।
কি ভাবে এপ্লাই করবেন:
সরকার এখনো কোন সুনির্দিষ্ট এপ্লিকেশন কথা বলেননি। ধারণা করা হচ্ছে এপ্রিল মাসের মধ্যেই বিস্তারিত এপ্লিকেশনের নীতিমালা পাওয়া যাবে।
কর্মচারীদের অসুস্থতার পেমেন্ট: (স্ট্যাটুটরি সিসিক পে বা এসএসপি):
করোনা ভাইরাসের জন্য অসুস্থ কর্মচারীদের সরকার ২ সপ্তাহ অসুস্থতার বেতন দিবেন। যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্টানে ২৫০ কিংবা তার কম কর্মচারী রয়েছেন সে সকল প্রতিষ্টান এই সুযোগ পাবেন এবং এই অসুস্থ কর্মচারীকে অবশ্যই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ২৮ তারিখের আগে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে হবে। এরকম ক্লাইমের ক্ষেত্রে কর্মচারী কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার জন্য ও বিবেচিত হবেন। এখানে প্রচলিত জিপি সিক নোটের প্রয়োজন হবে না।ইন্টারনেটের মাধ্যমে এনএইচএসের সিক নোট বিবেচনা করা হবে। সরকার শীঘ্রই সকল এমপ্লয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে পরিশোধ করবে।
A 12-month business rates holiday for all retail, hospitality, leisure and nursery businesses in England
(ইংল্যান্ডের সমস্ত রিটেল, হসপিটালিটি, লেজার এবং নার্সারি সংক্রান্ত ব্যবসায়ের জন্য ১২ মাসের বিজনেস রেট হলিডে).
সকল প্রকার রিটেল, হসপিটালিটি, লেজার এবং নার্সারি সংক্রান্ত ব্যবসার জন্য আগামী ১২ মাসের বিজনেস রেট হলিডে। অর্থাৎ কাউকে ২০২০–২০২১ সালে বিজনেস রেট দিতে হবে না। এই সুবিধা পেতে হলে ব্যবসা অবশ্যই ইংল্যান্ডের মধ্যে হতে হবে এবং উপরে উল্লেখিত ব্যবসা হতে হবে। বিজনেস রেট মওকুফের জন্য কাউকে কোন দরখাস্ত করতে হবে না। যোগ্য ব্যবসাকে লোকাল অথরিটিই জানিয়ে দিবে।
Cash grants for retail, hospitality and leisure businesses
ইংল্যান্ডের সমস্ত রিটেল, হসপিটালিটি, লেজার এবং নার্সারি সংক্রান্ত ব্যবসায়ের জন্য ক্যাশ গ্রান্ট
সকল প্রকার রিটেল, হসপিটালিটি, লেজার এবং নার্সারি সংক্রান্ত ব্যবসা যাদের বিজনেস রেট ১৫,০০০.০০ পাউন্ড কিংবা তার চেয়ে কম তারা পাবেন ১০,০০০.০০ পাউন্ড আর যাদের বিজনেস রেট £১৫,০০০ থেকে £৫১,০০০ তারা পাবেন সর্বোচ্চ £২৫,০০০ গ্রান্ট। এই টাকা ফেরত দিতে হবে না। গ্রান্টের যোগ্যতা হলো – ব্যবসা অবশ্যই ইংল্যান্ডে এবং উপরোক্ত বিষয়ের উপর থাকতে হবে। এই গ্রান্টের জন্য ও দরখাস্ত করতে হবে না। বিবেচিত হলে লোকাল অথোরিটিই যোগাযোগ করবে।
বিজনেস রেট পে করে না এমন ব্যবসা প্রতিষ্টান:
কিছু কিছু ছোটখাট ব্যবসা প্রতিষ্টানের কথা বলে হয়েছে, যেগুলো কোন প্রকার বিজনেস রেট পে করে না অথবা খুব কম করে অথবা ইতিমধ্যে তাদের বিজনেস রেট মওকুফ করা হয়েছে। সেসকল ব্যবসা প্রতিষ্টানকে ১০,০০০ পাউন্ড অনুদান বা গ্রান্ট দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এই টাকা দিয়ে তারা যাতে তাদের দৈনন্দিন ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন।
The Coronavirus Business Interruption Loan Scheme offering loans of up to £5 million for SMEs through the British Business Bank.
(করোনা ভাইরাসের কারণে যে সকল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে ব্রিটিশ বিজনেস ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোন প্রদান)
করোনা ভাইরাসের কারণে যে সকল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে ব্রিটিশ বিজনেস ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোন প্রদান করার কথা সরকার ঘোষণা করেছেন। সর্বোচ্চ ৬ বছর মেয়াদি এই লোনের মধ্যে সরকার ব্যাংককে ৮০% গ্যারান্টি দিবে। তাছাড়া সরকার প্রথম বছরের লোনের সুদ এবং লোনের অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সকল খরচ বহন করার কথাও বলেছেন। হাইস্ট্রিট ব্যাংকের পাশাপাশি ইতিমধ্যে ৪০টির ও বেশি প্রতিষ্টানকে এই লোন দেয়ার জন্য সরকার নির্ধারণ করেছেন।
Support for large businesses through the Coronavirus Large Business Interruption Loan Scheme:
করোনা ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্টানের জন্য সরকার বিশেষ ঋণ সুবিধা ঘোষণা করেছেন। যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্টানের বছরের £৪৫ মিলিয়ন থেকে £৫০০ মিলিয়ন তাদেরকে সরকার ৮০% গ্যারান্টী দিয়ে সর্বোচ্চ £২৫ মিলিয়ন লোন দিবে। তাদেরকে দেখাতে হবে তাদের ব্যবসা ইংল্যান্ডে, অন্যকোনভাবে তারা লোন পাবে না এবং করোনা ভাইরাসের জন্য তাদের ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে উঠতে সাময়িক সময়ের জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলোর বকেয়া ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড কিনে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তাছাড়া ও বিজনেস এবং সেল্ফ এমপ্লয়েড যারা উপস্থিত সময়ে তাদের ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবেন না, তাদেরকে এইচএমআরসি বিশেষ সুবিধা দেয়ার কথাও বলেছে। এছাড়াও সরকার ৩০শে জুন ২০২০সাল পর্যন্ত যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্টান রেন্ট দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ল্যান্ডলর্ড তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।
লেখক : ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
কলামিস্ট, প্রিন্সিপাল সলিসিটার
কেসি সলিসিটর্স, ইউকে