ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ভারত ও সিঙ্গাপুরে আটকে পড়া চট্টগ্রামের দুই হাজার ২০০ মানুষকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ইউএস বাংলার আটটি বিশেষ ফ্লাইটে আনা হচ্ছে এসব মানুষ। আগামীকাল বুধবার প্রথমদিনে ৬০০ জনকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ফিরিয়ে আনা মানুষগুলোকে কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থাও সম্পন্ন হয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লকডাউন ঘোষণার পর চিকিৎসা নিতে যাওয়া চট্টগ্রামের এসব মানুষ ভারত ও সিঙ্গাপুরে আটকা পড়ে। এখন তাদের আটটি বিশেষ ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
তিনি জানান, ভারত থেকে ৬০০ জন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসবে আগামীকাল বুধবার। এদের ৩০০ জনকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, অপর ৩০০ জনকে বায়েজিদ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। কয়েক দফায় বাকী লোকজন চট্টগ্রামে ফিরবে। সিঙ্গাপুর থেকেও ২০০ জনকে ফিরিয়ে আনা হবে।
এজন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আরও এক হাজার ৩০০ মানুষের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনী। বিশেষ করে কাজির দেউড়ির এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, নগরীর কিছু হোটেল-মোটেল ও ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটকে ঘিরেই মূলত পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন। কোয়ারেন্টিনে রাখতে থাকা-খাওয়ার বিষয় ও খরচ-সবকিছুই ঠিক করবে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যে এই কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলো পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছেন বলেও জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
এদিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স থেকে জানানো হয়েছে, ২২ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ছয়টি, এরপর আরও দুটি বিশেষ ফ্লাইটে আটকে পড়া প্রায় দুই হাজার ২০০ মানুষকে চেন্নাই ও কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনা হবে।