ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬৪১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার ১০৩ জন।
আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীরা ছয়জন পুরুষ এবং দুইজন নারী। এঁদের ছয়জন ঢাকার এবং দুইজন ঢাকার বাইরের। বয়সে তাঁরা ষাটোর্ধ চারজন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী দুইজন। এ নিয়ে করোনায় দেশে এ পর্যন্ত ১৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এঁদের মধ্যে ১৩৭ জনই ঢাকা বিভাগের।
এ ছাড়া হাসপাতালে থাকা করোনা রোগীদের ভেতর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরো ১১ জন এবং এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫০ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানান নাসিমা।
ডা. নাসিমা আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে চার হাজার ৭০৬টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে চার হাজার ৯৬৮টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৬৪১ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ১০৩ জন। এ পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৭০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১০৪ জনকে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৩৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৮ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৩৩ জন। সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা আছেন ৯ হাজার ৭৩৮টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে তিন হাজার ৯৪৪টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই হাজার ৪১২ জন। একইসময় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে গেছেন ১৩২ জন। এ পর্যন্ত হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার দুইজন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৯৫৫ জন। আর ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭৬ হাজার ৩৮২ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা প্রদান যাবে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৭৫ হাজার ১১৫টি। এসব কলে যারা কভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন তাদেরকে সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৯১ জনকে কভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মোবাইল ফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২৬ হাজার ২৪৮ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত এ দুই মাধ্যমে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৫ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে বুলেটিনে জানানো হয়।