ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনাভাইরাসের আক্রমণ সামলে কবে আবার ক্রীড়া জগৎ নিজস্ব ছন্দ ফিরে পাবে, তা এখনও কেউ জানে না। কারো, কারো মতে প্রয়োজনে ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা চালু হোক। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার সেই দলে পড়েন না।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে গতকাল বুধবার ওয়ার্নার বলেছেন, ‘যেখানেই খেলা হোক না কেন, সবাই চায় দর্শকদের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে।’
বল বিকৃতি কাণ্ডের পরে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন ওয়ার্নার। সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর বেশ কয়েক বার দর্শক বিদ্রুপের সামনে পড়তে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁ-হাতি ওপেনারকে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে। কিন্তু তাও তিনি বলছেন, ‘ইংল্যান্ডে খেলতে আমি ভালোবাসি। হ্যাঁ, দর্শকদের মধ্যে কেউ, কেউ আমাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে ঠিকই, কিন্তু সেটা এক দিক দিয়ে দলের পক্ষে ভালো। বাকিদের ওপর থেকে চাপটা কমে যায়।’
তবে অস্ট্রেলীয় ওপেনার এও মনে করেন, জুন-জুলাইয়ে তাঁদের যে স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড সফর ছিল, তা বাতিল হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে সফর হওয়া খুবই কঠিন।
আগামী ২৯ জুন স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তার পরে ৩ জুলাই থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে অজিরা। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ। কারণ ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, ১ জুলাই পর্যন্ত তাদের দেশে সমস্ত পেশাদার ক্রিকেট বন্ধ থাকবে।
ইসিবির চিফ এগজিকিউটিভ টম হ্যারিসন বলেছেন, ‘আরও দেরি হলে তখন আর ক্রীড়াসূচি পাল্টানো যাবে না। খেলা বাতিল করতে হবে।’