বরিস জনসনের প্রধান উপদেষ্টা কি সব আইনের উপরে

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিতর্কিত প্রধান উপদেষ্টা ডমিনিক কিউমেন যেন সব আইনের উপরে। লকডাউন আইন অমান্য করে গত ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিলের ভেতরে স্ত্রী বাচ্চা নিয়ে লন্ডন থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে কাউন্টি ডারহামে নিজের পিতা-মাতার কাছে যান ডমিনিক। এমন কি তখন ডমিনিক নিজে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এ খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর মেট পুলিশের পক্ষ থেকে ডারহাম পুলিশকে অবহিত করা হয়। ডারহাম পুলিশের পক্ষ থেকে ডারহামের ওই ঠিকানায় যোগাযোগ করা হলে, ওই পরিবার থেকেও নিশ্চিত করা হয় ৩১শে মার্চ লন্ডন থেকে এক ব্যক্তি তাদের এখানে এসেছিলেন।

২৩ শে মার্চ থেকে ব্রিটেনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এখন লকডাউন আইন কিছুটা শিথিল হলেও ৩১শে মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল ছিলো কঠোর লকডাউন আইনের ভেতরে। ঘরে থাকার জন্যে জনগনের প্রতি সরকারের কঠোর নির্দেশনা ছিল ওই সময়।

লকডাউন আইন অমান্য করার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ডমিনিক কিউমেনের পদত্যাগ দাবী করেছে লেবার পার্টি। শনিবার টেন ডাউনিং স্ট্রীটের প্রেসব্রিফিংয়ে এর যথাযথ ব্যাখ্যাও দাবী করা হয়েছে। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে লকডাউন আইন ভাঙ্গার দায়ে ডমিনিক কিউমেনের পদত্যাগের দাবী যতোই জোড়াল হচ্ছে এর বিপরীতে প্রধানমন্ত্রীসহ কেবিনেটের পক্ষ থেকে তার পক্ষে সাফাই ততোই বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীসহ তিনজন কেবিনেট সদস্য অন্তত এক ঘন্টার ভেতরে তার পক্ষে সাফাই করেছেন।

ডমিনিক কিউমেন যথাযথ কারণে এবং আইনসম্মতভাবেই শরীরে করোনা উপসর্গ নিয়ে স্ত্রী এবং বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে ২৬০ মাইল ড্রাইভ করে লন্ডন থেকে কাউন্টি ডারহামে গেছেন বলে আলাদা আলাদা টুইটে সাফাই করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মাইকেল গর্দভ, ডমিনিক রাব এবং ঋষি সোনাক।

অথচ ২৮ থেকে ২৯ মার্চের ভেতরে টেন ডাউনিং স্ট্রীট থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, ডমিনিক কিউমেনের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

লকডাউন আইন ভাঙ্গার অভিযোগে এর আগে বরিস সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ডক্টর নেইল ফারগুসন এবং স্কটিশ সরকারের প্রধান মেডিকেল অফিসারকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।

বরিস সরকারের এসএজিই’র করোনা বিষয়ক উপদেস্টা নেইল ফারগুসন লকডাউন আইন ভেঙ্গে প্রেমিকার সঙ্গে স্বাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন।

স্কটল্যান্ড সরকারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডক্টর ক্যাথরিন দুবার তার দ্বিতীয় হোম ভিজিট করেন লকডাউন আইন ভেঙ্গে। 

বরিস কেবিনেটের কমিউনিটি সেক্রেটারী রবার্ট জেনেরিকও লকডাউন আইন অমান্য করে লন্ডন থেকে ১৫০ মাইল দূরে হার্ডফোর্ডশায়ারে যান ড্রাইভ করে।

এদিকে লকডাউন আইন অমান্য করায় প্রফেসার নেইল ফারগুসন পদত্যাগ করলেও লকডাউন নিয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার জন্যে বিতর্কিতভাবে এসএজিই মিটিংয়ে একবার অংশ নিয়েছেন বিতর্কিত ডমিনিক কিউমেন। এখন তিনি নিজেও লকডাউন আইন অমান্য করে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেস্টা করছেন।

 

Advertisement