আহাদ চৌধুরীবাবু : আজ ঈদ ,এক ব্যাতিক্রম সময়ের বিরল সাক্ষী আমরা। করোনা কালে আমাদের লক ডাউন ও বিশেষ পরিস্থিতিতে একমাস সিয়াম পালনের পর ঈদ উদযাপন হচ্ছে নিজেদের ঘরে শুধু মাত্র পরিবারের সদস্যদের নিয়ে । নামাজও নিজেদের ঘরে।
এরকম সময়ে আমাদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যম টেক্স ম্যাসেজ ফোন অথবা সোসিয়াল মাধ্যম ! আমরা সবাই কম বেশী সবাই বিভিন্ন স্বজনদের নিকট থেকে ম্যাসেজ পাই ।
এরকমই একটি বার্তা পেয়েছি লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারী চ্যানেল এসের চিফ রিপোর্টার সহকর্মী মোহাম্মদ যুবায়েরের নিকট থেকে।
সহজ ভাষার ব্যবহার ও এই মুহুর্ত্বের ভাবনার প্রকাশ উঠে এসেছে যাহা অনেকের মনের কথা ও উপলব্ধী ! পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ঈদ মোবারক।
লকডাউন জীবন বাস্তবতায় বিশেষ শুভেচ্ছা। কভিড ক্রাইসিসে বিপর্যস্ত পৃথিবী। শতবর্ষের নজিরবিহীন এক ঘটনা। আর ইতিহাসে সাক্ষি আমরা। ক্যামন কাটছে আপনার ঈদ? নিশ্চয় ঘোরোয় আয়োজন আর সোস্যাল মিডিয়ায় আনন্দ খুজছেন। আমিও ঈদের যে কোনো নিউজ নেই! বড় বড় ঈদ জামাত নেই, সেই নিউজই করছি।
রোজার সমাপ্তি। কিন্তু সংযম চর্চায় যেনো ইতি না টানি। আসুন, আরো বেশী মানবিক হই। করোনা ভাইরাস থেকে করুনার শিক্ষা নেই। মাথা নত রাখতে শিখি। এতো বড় মহামারি আর মৃত্যুর মিছিলের পর সমাজ-সংসারে বাড়াবাড়ি বাদ দেই।
করোনার অনিশ্চয়তা আর রামাদানের শিক্ষা থেকে-দুর করি বিভাজন, হিংসা-ঘৃনা। আসুন, শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, নীতি-নৈতিকতা আর সহমর্মিতার জয়গান গাই।
আসুন, আবার আমরা মানুষ হই। আবারো ঈদ মোবরক।
মুহাম্মদ জুবায়ের
চীফ রিপোর্টার চ্যানেল এস
সেক্রেটারী লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব
(পুনশ্চ: আমি ব্যক্তিগত ভাবে লকডাউনে নেই। যারা আইন মেনে ঘরবন্দি, তাদের বাড়তি সুবিধা সোসাল কানেকশনে। তাই দয়া করে আমাকে মাফ করবেন, তুলনামূলক কম সক্রিয়তার জন্য। দোয়া করবেন, পেশাগত কারনে নানান মানুষের কাছাকাছি যাচ্ছি প্রায় প্রতিদিন। চরম ব্যস্ততায় কাটছে দিন। কাটছে রাত। করোনার ভয় হাওয়া। তবে অবশ্যই সাবধান থাকি। কিন্তু দিনগুনি, কবে কডিভ থেকে মুক্তি। কামনা, চলতে চলতে পথ যেনো হঠাত করে-নিজেও সংবাদ না হই। করোনায় আক্রান্ত না হই।)