ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ডাউনটাউন টরোন্টোতে তিন মাসে মসজিদ টরোন্টোতে বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। সর্বশেষ হামলা হয় রোববার। বেশ কিছু জানালার ক্ষতি করা হয় এ সময়। এতে সেখানে নামাজ আদায়কারী মুসলিমদের মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন। তারা মনে করছেন, ঘৃণাপ্রসূত এসব হামলা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
হাসাম মুনির (২৫) নামে এক যুবক নিয়মিত এই মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতেন।
কিন্তু এই হামলার পর তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেছেন, ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে কোনো গ্রুপ বা ব্যক্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এই মসজিদে যারা দায়িত্ব পালন করেন এবং নামাজ আদায় করেন তাদের বিষয়েই শুধু আমি উদ্বিগ্ন এমন নয়। একই সঙ্গে এ ধরনের হামলা আমাদেরকে জানিয়ে দেয় অবহেলার আর ঘৃণার বিষয়। যা এই সমাজে বিদ্যমান। উল্লেখ্য, মুসলিম এসোসিয়েশন অব কানাডার (এমএসি) অংশবিশেষ হলো মসজিদ টরোন্টো। হাসাম মুনির বলেন, নিজেদের উপাসনালয়ে কোনো কানাডিয়ানের অনিরাপদ বোধ করা উচিত নয়। হাসাম মুনির কাজ করেন ইয়াকিন ইন্সটিটিউট ফর ইসলামিক রিসার্সে। এ প্রতিষ্ঠানটি ইসলামভীতির বিরুদ্ধে কাজ করে।
তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই মসজিদটির জানালার গ্লাস ভাঙা দেখা যায় এ সপ্তাহে। এমএসির আরো একটি মসজিদ ভাঙচুর করা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে এ নিয়ে ৬ বার স্থানীয় মসজিদগুলোতে হামলা হলো। জানালা ভাঙা ছাড়াও মসজিদের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে হামলাকারীরা। তারা মসজিদের দেয়ালে ও জানালায় বর্ণবাদী লেখা লিখে গেছে। এমএসি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের হামলা এখন ঘনঘন হচ্ছে। তাই পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত। এসব হামলার মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আল জাজিরাকে এক ইমেইলে পাঠানো প্রশ্নের জবাবে টরোন্টো পুলিশ বলেছে, ১লা জুন থেকে দুটি মসজিদে দুর্বব্যহার ও ক্ষতির বিষয়ে বেশ কয়েকটি রিপোর্টের বিষয়ে তারা অবহিত। বিবৃতিতে তারা জানায়, বর্তমানে ৬টি আলাদা অনুসন্ধান চলছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। আমাদের হেট ক্রাইম ইউনিট এসব ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তদন্ত অব্যাহত রাখা হবে। তারা মসজিদের সদস্যদের সঙ্গে টানা কাজ করে যেতে চান।
এমএসির জনসংযোগ বিষয়ক ম্যানেজার মারিয়াম মানা দাবি করেছেন এসব ঘটনাকে ঘৃণাপ্রসূত অপরাধ হিসেবে দেখার জন্য।