ব্রিটবাংলা ডেস্ক : উত্তর ইংল্যান্ডের নিউক্যাসলে গত শনি ও রোববার, ২৪ ঘন্টার ভেতরে ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ketamine এবং MDMA ড্রাগ নেওয়ার ফলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। মৃত্যুব্যক্তিদের এসব ড্রাগ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টার দিকে নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির পার্ক ভিউ স্টুডেন্ট ভিলেজে ১৮ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করার পরা ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করে পুলিশ। তিনি কেটামিন (ketamine) নামে এক ধরনের ড্রাগ সেবন করেছিলেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ ঘটনার পর ১৮ বছর বয়সী এক পুরুষকে ক্লাশ বি মাদক পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে নিউক্যাসলের টাইনি ওয়ার এলাকার ওয়াশিটংন স্ট্রীট থেকে ১৮ বছর বয়সী আরেক পুরুষ হঠাৎ করেই হৃদযন্ত্রে মারাত্মকভাবে অসুস্থ বোধ করে মাটিতে লুটিয়ে পরার কিছুক্ষন পরে মৃত্যুবরন করেন। তিনি এমডিএমএ নামে এক ধরনের মাদক গ্রহন করেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেফতারের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পরদিন রোববার সকাল ৮টায় ১৩ মিনিটের সময় নিউক্যাসলের নর্থাম্বরিয়া ইউনিভার্সিটির ২১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী এমডিএমএ ড্রাগ নেওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ্ হয়ে পরেন। তাকে হাসপাতালের নেওয়ার কিছুক্ষন পরেই তিনি মৃত্যুবরন করেন।
এ ঘটনার পর ক্লাশ এ ড্রাগ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ২০ বছর বয়সী অপর এক পুরুষকে গ্রেফতার করার পর জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
চতুর্থ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে রোববার দুপুর ১টার দিকে নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির পার্ক প্লাজা স্টুডেন্ট ভিলেজে। ১৮ বছর বয়সী ছাত্রীকে ঘটনাস্থলেই পুলিশ মৃত ঘোষনা করে। তিনি কেটামিন গ্রহণ করেছিলেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। শনিবার সকাল ৬টায় কেটামিন গ্রহনের ফলে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল একই ভবনে।
এ ঘটনার পরেও মাদক সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ১৮ বছর বয়সী এক পুরুষকে গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চার ঘটনারই তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। নিউক্যাসল এবং নর্থাম্বরিয়া ইউনিভার্সিটির সব আবাসিক হল এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সব আবাসনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। স্নিফার ডগের সহযোগিতা নিয়ে মরনঘাতি এসব ড্রাগ উদ্ধারের চেস্টা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, করোনার কারনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। নর্থাম্বরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই ৭শ ৭০ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ ধরা পরায় সবাই সেল্ফ আইসলিউশনে রয়েছে।