ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার একদিনে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা কমপক্ষে ৮০ হাজার। সেখানে করোনা মহামারি শুরুর পর একদিনে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ এর আগে আক্রান্ত হননি। হাসপাতালগুলোতে যখন ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রতিদিন বেশি থেকে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন, তখন বিশেষজ্ঞরা আরো ভয়াবহতার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে আরো বলা হয়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫ জন ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছিল ১৬ জুলাই। সে সময় একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ৩৬২।
এক্ষেত্রে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য উদ্ধৃত করেছে সিএনএন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল ডা. জেরোমি এডামস সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে শতকরা ৭৫ ভাগের বেশি হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মকর্তারা আরো সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মৃতের হারও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে জেরোমি এডামস যে সুখবর দিয়েছেন, তা হলো- কোভিড-১৯ এ মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ কমেছে। এক্ষেত্রে রেমডিসিভির, স্টেরয়েড ও অন্যান্য উন্নত ব্যবস্থাপনা সহায়ক হয়েছে।
কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্টের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কমপক্ষে ৪১ হাজার মানুষ। ২০ আগস্টের পর এটাই হলো যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে ভর্তির সর্বোচ্চ সংখ্যা। অক্টোবরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে ভর্তি রোগির সংখ্যা শতকরা ৩৩ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে, মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাবে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ৮৫৬ জন। গত সাত দিনের হিসাবে গড়ে প্রতিদিন মারা গেছেন ৭৬৩ জন। এক মাসের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ।
ওদিকে হোয়াইট হাউজে করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামনের কয়েকদিনেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদেরকে সংক্রমণ বৃদ্ধি, হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর বিষয়ে এলার্ম বা সতর্ক করা হয়েছে। ওদিকে সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি শুক্রবার বলেছেন, দেশজুড়ে কোভিড-১৯ বৃদ্ধিতে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে জনগণকে দ্বিগুন ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।