ব্রিট বাংলা ডেস্ক : নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে কারাগারে এক কয়েদিকে দেখতে এসেছিলেন জুয়েল খান (৩৬) নামে এক যুবক। জোর করে ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন তিনি । শেষে ধরা পড়ে শ্রীঘরে স্থান হয়েছে তার।
বৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোনা জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
জুয়েল খান সদর উপজেলার সাতপাটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
জেলা কারাগার ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জুয়েল মিয়া বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগারের ফটকে এসে কারারক্ষীদের কাছে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি তার পরিচিত এক কয়েদিকে দেখতে ভেতরে প্রবেশ করতে চান।
এ সময় কারারক্ষীরা তাকে বাধা দেন। পরে তিনি চড়াও হয়ে কারারক্ষীকে দেখে নেয়ার হুশিয়ারি দেন। পরে জেলা কারাগারের সুপার আবদুল কুদ্দুস এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। বর্তমানে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত উল্লেখ করে ভিজিটিং কার্ডও ধরিয়ে দেন।
বিষয়টি সন্দেহ হলে জেলা কারাগারের সুপার নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে জানান। পরে তিনি এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জুয়েল নিজেকে ঢাকার ধামরাইয়ের এসিল্যান্ড হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানেও খোঁজ নিয়ে কোনো সত্যতা না পাওয়ায় জুয়েলকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ডেপুটি জেলার সিরাজুল সালেদিন বাদী হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় জুয়েলের নামে প্রতারণার মামলা করেন। শুক্রবার সকালে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
জেলা কারাগারের সুপার আবদুল কুদ্দুস বলেন, জুয়েল নিজেকে এসিল্যান্ড ও ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে জোর করে কারাগারে প্রবেশ করতে চাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।