নর্থাম্পটনে অবস্থিত ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটিতে প্রায় ১০ হাজার ফেস মাস্ক বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি প্রমোশন এবং প্রিভেনশন সংক্ষেপে সিপিপিপি। একই সঙ্গে সংস্থার পক্ষ থেকে বাঙালী কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে আগামী পাঁচ মাস ব্যাপি নতুন প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি, প্রমোশন এন্ড প্রিভেনশন (সিপিপিপি) একটি অলাভজনক চ্যারিটি সংস্থা। গত ১৮ বছর যাবত যুক্তরাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে – অন্যান্য সকল কমিউনিটিতে সংমিশ্রণ এবং সংহতি বৃদ্ধি করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে । এছাড়া বাঙালী জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বাংলা ভাষা নতুন প্রজন্মের সামনে বক্তৃতা, সেমিনার এবং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ইংলিশ ও বাংলায় প্রবন্ধ লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করে আসছে নিরলসভাবে।
চ্যারিটির ফাউন্ডার ইমরান চৌধুরী বলেন, কোভিড – ১৯ এর বিভিন্ন রিসার্চ এ উঠে আসছে যে, বি এ এম ই কমিউনিটি এই মহামারীর দ্বারা সব চাইতে বেশি আক্রান্ত, যার ফলশ্রুতিতে এই চ্যারিটি আগামী পাঁচ মাসব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ফিটনেস এবং ন্যিঊট্রিসন প্রোগ্রাম চালু করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত শতভাগ সুতী এবং সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহন করা এবং ধোয়া যায় এ রকম প্রায় ১০ হাজার মাস্ক ফ্রি বিতরন করা হবে।
এ ব্যাপারে ইমরান চৌধুরী আরো বলেন, কোভিড ১৯ আমাদের কম্যুনিটির জন্য বয়ে এনেছে অনেক বড় একটি বিপদ। কম্যুনিটি হারিয়েছে অনেক সূর্যসন্তানদের। প্রত্যেক মৃত্যুর পিছনে থেকে আছে একটি নাম, একটি পরিবার, একটি সংসার, একটি শোক সন্তপ্ত আত্মীয় স্বজন । আমাদের বি এ এম ই সম্প্রদায় খুবি দুর্বল নিশানায় পরিণত হয়েছে এই মহামারিতে।
আমাদের মাঝে অনেকেরই স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে যেমন টাইপ টু ডাইবেটিক্স রোগ এ ভুগে থাকেন, যা কিনা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ডেমোগ্রাফির মানুষের মাঝে খুবি বেশি বিদ্যমান এবং এই রোগীরা কোভিড সংক্রমন থেকে মৃত্যুবরন করাটা খুবই স্বাভাবিক। আমরা চাচ্ছি ক্রমান্বয়ে আমদের সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে জীবন ব্যবস্থা একটু পরিবর্তনে সহায়তা করতে। একটু আধটু ব্যায়াম করা, অলস সময় না কাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরতের মাধ্যমে নিজেদেরকে আরও একটু সক্রিয় জীবন ব্যবস্থা আনতে সহায়তা করার প্রয়াসে এই উদ্যোগ , সাথে সাথে স্বাস্থ্য সম্মত পুষ্টিকর খাবার এর প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করার জন্য চেষ্টা করে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই আমাদের এই প্রচেষ্টা ।
উক্ত চ্যারিটি ব্রিটিশ হোম অফিসের ‘‘বি এস বিটি” অনুমোদিত একমাত্র বাংলাদেশি পরিচালিত অর্গানাইজেশন ।