বিশ্বব্যাপী এইচআইভির এর ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা মহামারী কালিন সময়েও বিভিন্ন জাতি ও দেশ এইচআইভির সংক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২০১৯ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ এবং নতুন করে আক্রান্ত হয় ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। ২০১৯ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষ।
অপরদিকে কোভিড-১৯ মহামারিকালিন সময়ে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি। কারণ এসময়ে পর্যাপ্ত ঔষধের সরবরাহ না থাকায় এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতা চিকিৎসাসেবা গ্রহনের বড় বাধা। ২০২০ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এক তৃতীয়াংশ চিকিৎসাসেবা তথা ঔষধ পেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
তাই এখনই সময় কোভিড-১৯ প্রতিরোধের পাশাপাশি এইচআইভি সংক্রমন রোধে আবারো একযোগে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা ও এইচআইভি প্রতিরোধে বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০ এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “বিশ্ব সংহতি” এর জন্য সকল নেতা ও নাগরিকদের একত্রিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য “সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব” সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এ দিবসটি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর এর উদ্যোগে পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০। জাতীয় পর্যায়ে সরকারী নির্দেশনা অনুসরন করে দেশের অন্যান্য সংগঠনের সাথে একত্রিত হয়ে শাহবাগ মৎসভবনের নিকটে শতাধিক সংগঠনের উপস্থিতিতে বর্নাঢ্য শুভাযাত্রায় অংশ গ্রহনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০ পালিত হয়।উক্ত শুভাযাত্রায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরও অংশ নেয়।