লেখক মুশতাকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই, লাশ হস্তান্তর, অপমৃত্যু মামলা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. অসিউজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার সময় মুশতাকের শরীরে প্রাথমিকভাবে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।

এদিকে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ বায়েজীদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মুশতাকের শরীরে মৃত্যুর আগে বা পরে ঘা হয়েছে এমন লালচে-কালো ছোট ছোট দাগ দেখা গেছে তার পিঠে ও ডান বাহুতে। এগুলো হাসপাতালে আনার সময় বা গাড়িতে ওঠানোর সময়ও এ দাগ হয়ে থাকতে পারে। বিস্তারিত জানার জন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেতে হবে। প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে কী হয়েছিল। এসআই বায়েজিদ আরো জানান, কারাগারের পক্ষ থেকে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (নং ১৩) হয়েছে।

হাসপাতাল মর্গে মরদেহের জন্য অপেক্ষমাণ লেখক মোস্তাক আহমেদের ভাই ডা. নাফিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তার মরদেহ আমি নিজে দেখেছি।

তেমন কোনও সমস্যা আমার চোখে পড়েনি। ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন ছাড়া আমি এ ব্যাপারে কী বলবো? এর বাইরে তিনি কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, শুক্রবার বাদ মাগরিব লালমাটিয়া সি ব্লকের মিনার মসজিদে মুশতাক আহমেদের জানাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মরদেহ দাফন করা হবে আজিমপুর কবরস্থানে।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টায় সুরতহাল প্রতিবেদন করার পর লেখক মুশতাকের ময়নাতদন্ত করেন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মো. সাফি মোহাইমেন। তারপর দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ মুশতাকের চাচাতো ভাই নাফিসুর রহমানসহ অন্য স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। মরদেহ এখন গাজীপুর থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।

Advertisement