আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী নই, যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া-জাপানের সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারতকে চীনের বার্তা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের সমস্যা লেগেই রয়েছে। এমন অবস্থায় এ মাসেই বসতে চলেছেন Quadeilateral Security Dialogue (QUAD)-এর দেশসমূহের প্রতিনিধিরা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘কোয়াড’ নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান। কোয়াড-এর বৈঠকের আলোচনার মূল বিষয় দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা আগ্রাসন বলেই খবর বের হলেও চীনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নিয়েও যে সেখানে কথা উঠবে তা বেশ ভালোভাবেই জানে চীন। তাই এর আগেই বেজিংয়ের তরফে ভারতকে সাফ জানিয়ে দেয়া হলো যে চীন ও ভারত কখনোই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ওয়াই বেজিং-এ বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন। এই সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী যোশিহিদের এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে চতুর্থ বৈঠকে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এর আগে ওয়াং নয়াদিল্লিকে এই বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও তিন বছর আগে এই বৈঠক নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করেছিল বেইজিং। ওয়াং সে সময় এই বৈঠককে নিয়ে ‘সমুদ্রের ফেনা’র মতো এবং ‘খুব শিগগিরই বিলুপ্ত হবে’ এমন মন্তব্য করেছিলেন।

এরপর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। গালওয়ান সংঘর্ষ, লাদাখে সেনা মোতায়েন ইত্যাদি ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৬শে জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে ৭৫ মিনিট ফোনালাপও সারেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খুব ভালো পরিস্থিতিতে নেই। সেই জায়গা থেকে কৌশলগতভাবে আরো কাছাকাছি এসেছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত বছর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যা ঘটেছে তা একেবারেই ভুল ছিল। গত বছরের ঘটনাই প্রমাণ করেছে কোনও সংঘর্ষই কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে না। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হয়। চীনের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে চীন সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।

Advertisement