সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সহিংস আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে ‘হামলা ঠেকাতে’ থানাগুলোতে মেশিনগান পোস্ট বসানো হয়েছে। মহানগর ও জেলা পুলিশের প্রতিটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে বস্তা দিয়ে বাংকার তৈরি করে সার্বক্ষণিক মেশিনগান নিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ঝুঁকি ও গুরুত্ব বিবেচনায় পুলিশের স্থাপনাগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে কড়া নজরদারি করছে পুলিশ। সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের বিভিন্ন মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বুধবার রাত থেকে সিলেটে পুলিশি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরজমিনে কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে বস্তা দিয়ে বাংকার বানিয়ে তাতে লাইট মেশিনগান (এলএমজি) নিয়ে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। থানার সামনে সব ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী পরিহিত অবস্থায় পুলিশের একাধিক পেট্রোল টিমকে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়। নিরাপত্তা জোরদারের কথা নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের। তিনি জানান, যেকোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে ধর্মীয় গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন জায়গায় থানা ও সরকারি অফিসে তাণ্ডব চালায়।মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, নগরীর সব থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশি স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সব স্থাপনায় পোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।তিনি জানান, শুধু থানা বা ফাঁড়ি নয়; সরকারি সব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ফোর্স তৈরি রাখা হয়েছে। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে।এদিকে সিলেট জেলার প্রবেশপথসহ আঞ্চলিক সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশের আওতাধীন সব থানায় মেশিনগান পোস্ট বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন।তিনি জানান, সব থানায় এলএমজি সরবরাহ করা হয়েছে। ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো দুষ্কৃতকারী হামলা চালানোর চেষ্টা করে পার পাবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।