১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কোভিডের টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপের ‘পরিচয় যাচাই’ অপশনে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্রছাত্রীদের নিবন্ধনের জন্য নতুন একটি অপশন খোলা হয়েছে।বর্তমানে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকরা করোনাভাইরাসের টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের (এমআইএস) পরিচালক ও এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান শুক্রবার (২০ আগস্ট) জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই সুরক্ষা অ্যাপে এই অপশনটি চালু হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের জন্য ২৫ বা তদূর্ধ্বই আছে এখনও। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটা ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বে করা হয়েছে।তিনি বলেন, সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে নিবন্ধনের ফরম পূরণের সময় ‘পেশা’র ঘরে ছাত্রছাত্রী লেখা থাকতে হবে। যারা রেজিস্ট্রেশনের সময় ‘পেশা’র ঘরে ছাত্রছাত্রী লিখে পূরণ করেছেন, তারা নিবন্ধন করতে পারবে। আর যারা এভাবে ফিলাপ করেনি তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসতে হবে। যে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ওই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় যে তালিকা পাঠায় সেখানে ইনক্লুড হয়ে আসতে হবে।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েকবার খোলার চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
দীর্ঘ লকডাউন শেষে গত ১১ আগস্ট থেকে সবকিছু চালু হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছে সরকার। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরানো নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানান আলোচনা চলছে।দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার আগে নিবন্ধন করতে হয়। গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। তখন শুধু ৪০ বছর বা এর বেশি বয়সীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছিলেন।গত ৫ জুলাই আগের চেয়ে আরও পাঁচ বছর কমিয়ে টিকার নিবন্ধনের জন্য যোগ্যদের বয়স ৩৫ বছর করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর ১৯ জুলাই আরও ৫ বছর কমিয়ে ৩০ বছর এবং ২৯ জুলাই বয়সসীমা আরও ৫ বছর কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে।অন্যদিকে টিকার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা বয়সমীমার বাইরে। এই অগ্রাধিকার তালিকায় যুক্ত হলো শিক্ষার্থীরা।বাংলাদেশে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৪ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সব ধরনের টিকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৭ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ জন।