সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে কমেছে মৃত্যু। এ সময় ৭ জনের মৃত্যু ও ১০৯ জন শনাক্ত হয়েছে। নতুন মৃত্যুসহ বিভাগে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৯২ জন।বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক দৈনন্দিন তথ্য বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে গতকাল বুধবার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু ৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছিল।তথ্য বিবরণী থেকে যায়, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট পরীক্ষার ১২ দশমিক ২৭ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সিলেট জেলায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, সুনামগঞ্জে ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, হবিগঞ্জে ১৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং মৌলভীবাজারে ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত হওয়া ১০৯ জনের মধ্যে ৫২ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ২৩ জন, হবিগঞ্জের ২০ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার ১৪ জন।এ নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৩২ হাজার ৭২৫ জন, সুনামগঞ্জে ৬ হাজার ১১৩ জন, হবিগঞ্জে ৬ হাজার ৪৭৭ জন ও মৌলভীবাজারে ৭ হাজার ৭৭৭ জন রয়েছেন।একই সময়ে সিলেটে ৪৮০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থদের মধ্যে ১০৯ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৩২৫ জন, হবিগঞ্জের ১০ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ৩৬ জন রয়েছেন।বিভাগে এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২৭৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ জন, সুনামগঞ্জে ৫ হাজার ২৩৯ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৩৯৪ জন ও মৌলভীবাজারে ৬ হাজার ১৭০ জন সুস্থ হয়েছেন।গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে মারা যাওয়া ৭ জনের সকলেই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১ হাজার ৮২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৮৯২ জন, সুনামগঞ্জে ৭২ জন, হবিগঞ্জে ৪৬ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৭২ জন মারা গেছেন।এদিকে একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের ১৮ জনই সিলেট জেলায়। এ নিয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৫২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯৭ জন, সুনামগঞ্জের হাসপাতালে ২৬ জন, হবিগঞ্জের হাসপাতালে ১৪ জন ও মৌলভীবাজারের হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।