পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে কুমিল্লা অঞ্চল উপযোগী বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, বিনা উদ্ভাবিত অধিক লাভজনক জাত ও প্রযুক্তির বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ পরীক্ষণ সম্পাদনের মাধ্যমে কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)।বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের জাত ও নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা নিরুপন এবং সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করে আসছে বিনা। সম্প্রতি সময়ে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রাম থেকে বীজ হিসেবে ১০০ কেজি বিনা সরিষা-০৯ এর বীজ সংগ্রহ করেছে বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লা। এ সময়ে বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লা এর পক্ষে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল সরকার ও অর্পিতা সেন এবং উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন ও মোঃ শরীফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজস্ব খাতের প্রদর্শনী হিসেবে প্রথম বারের মতো বিনা সরিষা-০৯ চাষ করেন বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের কৃষক জুলফু মিয়া। বিনা উপকেন্দ্রের বিনা সরিষা-০৯ জাতের বীজ সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকায় উৎপাদিত সরিষা ভোজ্য তেলের জন্য বিক্রি না করে বীজ হিসাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষি বিভাগ।কৃষক জুলফু মিয়া বাসসকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে সময়মতো সরিষা বুনতে পারি নাই, তারপরও বিনা সরিষা-০৯ চাষ করে বিঘা প্রতি ৫ মণ হারে ফলন পেয়েছি। ৪৫ কেজি বীজ রেখে দিয়েছি আগামীতে চাষ করার জন্য। অনেক কৃষক বিনা সরিষা-০৯ জাতটি চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, জাওয়াদ এর প্রভাবে সরিষা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি এ দুই কারণে বাজারে সরিষার দাম বেড়ে গেছে। বুড়িচং উপজেলায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধির কারণে সরিষা বীজের চাহিদা আরো বাড়বে। আগামী বছর যাতে সরিষার বীজের ঘাটতি না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা বীজ সংরক্ষণ করে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ফসলের বীজ উদ্যোক্তা তৈরি করতে কাজ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছাঃ আফরিনা আক্তার জানান, বিনা উপকেন্দ্রে বীজ সরবরাহ করতে পারাটা আমাদের বীজ উৎপাদন সক্ষমতার একটি প্রতিচ্ছবি। বীজ উৎপাদন ও বীজ ব্যবসা করতে আগ্রহী সকলকে আমাদের পক্ষ থেকে সকল কারিগরি পরামর্শ প্রদান করা হবে।