যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জলবায়ু কূটনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘ডিপ্লোম্যাট’ ম্যাগাজিন প্রদত্ত‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ অর্জন করলেন ।
গত ২৫ এপ্রিল সোমবার লন্ডনের বিল্টমোর মেফেয়ারে ২৫০ জনেরও বেশি কূটনীতিকের উপস্থিতিতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘ডিপ্লোম্যাট’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক হাই কমিশনারের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি কূটনীতিককে যুক্তরাজ্যে এমন স্বীকৃতি দেয়া হলো।
‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন, ইউকে প্রদত্ত একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার যা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ১৬৫ টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতদের মনোনয়ন এবং ভোটের ভিত্তিতে প্রতি বছর প্রদান করা হয়।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে পুরস্কার প্রদানের সময় ‘ডিপ্লোম্যাট’ যুক্তরাজ্যের সম্পাদক ভেনিশা ডি ব্লক ভ্যান কাফেলার বলেন, “লন্ডনে জলবায়ু কূটনীতিতে অসামান্য অবদান ও নেতৃত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে অব্যাহত উদ্যোগ ও সাফল্যের জন্য তাঁকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।”
‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার গ্রহণকালে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, “এই স্বীকৃতি যা বিশেষ করে জলবায়ু কূটনীতির জন্য প্রদান করা হলো তা আমার এবং আমার দেশের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয়। । আমি আমার প্রিয় রাষ্ট্রবদূতদের কাছে অতন্ত্য কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমাকে এই অ্যাওয়ার্ড-এর জন্য মনোনীত করেছেন।”
হাইকমিশনার আরো বলেন, “এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও গভীরভাবে কৃতজ্ঞ যিনি আমাকে COP-26 এবং ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে’বাংলাদেশের প্রেসিডেন্সির গুরুত্বপূর্ণ বছরে লন্ডনে বাংলাদেশের জলবায়ু কূটনীতির সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী COP-26-এ জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখোমুখি মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এবং অন্যতম প্রভাবশালী জলবায়ু নেতার ভূমিকাই কেবল পালন করেননি, এক্ষেত্রে আমাদেরও অশেষঅনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। বিশেষ করে জলবায়ু কূটনীতি বিষয়ে তিনি আমাদের শিক্ষক স্থানীয়।”
হাইকমিশনার তাঁর অ্যাওয়ার্ডটি লাখো জলবায়ু অভিবাসী এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে জলবায়ু বিপর্যয়ের শিকার অগণিত মানুষের প্রতি উৎসর্গ করেন।
বিগত ১২ বার বছর ধরে প্রচলিত ‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড‘ লন্ডনের কূটনীতিকদের জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি হিসাবে বিবেচিত এবং এটি লন্ডনে অবস্থিত ১৬৫ টিরও বেশি দেশের কূটনীতিকদের কর্মদক্ষতা ও সাফল্যের একটি অন্যতম প্রতিফলক।