বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের সাবেক এমপি এম জুবেদ আলী (৯২) আর নেই।বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ময়মনসিংহ শহরের নেক্সাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।প্রয়াত এম জুবেদ আলীর ভাগিনা সাবেক ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জন্মভূমি কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের বাড়িতে জুবেদ আলীর প্রথম জানাজা হবে এবং রাত ৯টায় কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা হবে।পরে ময়মনসিংহ শহরে তৃতীয় জানাজা শেষে সেখানেই মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হবে।মৃত্যুকালে এম জুবেদ আলী দুই ছেলে, তিন মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন বলেও জানান নাজিম উদ্দিন।এদিকে চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে নেত্রকোনা জেলা ও কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯৩০ সালের ২৫ ডিসেম্বর কেন্দুয়ার কাউরাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এম জুবেদ আলী। তার বাবা আরফান আলী মুন্সি এবং মা ময়মনজান বিবি।জুবেদ আলী ১৯৪৬ সালে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক ও ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে এইচএসসি এবং ১৯৫২ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হন।এরপর ১৯৬২ সালে তিনি ময়মনসিংহ বারে আইন পেশায় যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমএনএ নির্বাচিত হন। পরে ১৯৭৩, ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন এম জুবেদ আলী অ্যাডমিনিস্ট্রিয়াল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে গৃহীত বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও সংবিধানে সই করেন এম জুবেদ আলী।স্বাধীনতা-উত্তর তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান এবং ময়মনসিংহ জেলার গভর্নর নিযুক্ত হন।