জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’ সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই খসড়া অনুযায়ী, নির্বাচন চলাকালে যেকোনো মুহূর্তে এক বা একাধিক কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। তবে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না।বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।তিনি জানান, অনুমোদিত আরপিও আইনের খসড়া অনুযায়ী, নির্বাচন চলাকালে কোনো ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে নির্বাচন কমিশন সেই কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। তবে নির্বাচনের পুরো ফলাফল বাতিল করতে পারবে না।
একই সঙ্গে সংশোধিত আইনে একটি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে। সে ধারা অনুযায়ী, মিডিয়াকর্মীদের ওপর হামলা হলে, শাস্তির আওতায় আনা হবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, বৈধভাবে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকের নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশে ও কাজে যে কেউ বাধা দিলে দুই থেকে সাত বছরের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।এছাড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া খসড়া অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত ঋণখেলাপিরা ঋণ পরিশোধ করলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আপিল করা যাবে।কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর আরপিও সংশোধনে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠায় সরকারের কাছে। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় ওঠে। গত ২৮ মার্চ আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর খসড়াটি সংসদ অধিবেশনে বিল আকারে ওঠার অপেক্ষায় থাকল।