বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার বিকাশে প্রাণপুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাঙালির শিল্পকলার ঐতিহ্য নির্মাণ ও আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব। তার অসাধারণ নেতৃত্ব গুণে ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গড়ে তুলছিলেন চারুকলা ইন্সটিটিউট।শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, গ্রমবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের মূল উপজীব্য। তার কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।জয়নুল আবেদিন ছিলেন চারুকলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। সে সময় তার যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব চিত্রকলায় এক অনন্য অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। শিল্পাচার্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৫ সালে ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
তিনি ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, মানুষের দুর্দশা, কষ্ট ও সংগ্রামই ছিল জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের প্রধান উপজীব্য। তিনি এঁকেছেন ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র।শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিল্পাচার্যের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শিল্পী সংগঠন।