শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করা।তিনি আগামীকাল ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।সাহাবুদ্দিন বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সরকারের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করা। শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর শিক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি’ খুবই সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিশুশ্রম নিরসনে সরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ। উক্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিভিন্নমুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে। প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরকিল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শিশুশ্রম নির্মূলে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে চারস্তবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি আশা করেন পর্যায়ক্রমে সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করার কার্যক্রম বেগবান হবে। রাষ্ট্রপতি বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।