বরিসের অভিযোগের জবাব দিলেন ঋষি

এমপি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কান্ট্রিসাইডে সময় কাটাচ্ছেন বরিস জনসন। কিন্তু তাঁকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হেডলাইন হচ্ছে, আরও হবে। এতদিন প্রকাশ্যে বাদানুবাদে লিপ্ত না হলেও সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাকযুদ্ধে লিপ্ত হলেন। ব্রিটেনের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী তাদের পদত্যাগের আগে কিছু মানুষকে বিভিন্ন সম্মানিত পদ ও খেতাবে ভূষিত করার জন্য একটি তালিকা রেখে যান। বরিস জনসন তাঁর বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠজনকে হাউজ অফ লর্ডসের সদস্য করার সুপারিশ করে যে তালিকা রেখে গিয়েছিলেন, ঋষি সুনাক এর লোকেরা সেই তালিকা গোপনে পরিবর্তন করে দিয়েছে- এমন অভিযোগ বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠদের। মিস্টার সুনাক তালিকা সংশ্লিষ্ট কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেন। হাউজ অফ লর্ডসের এপয়েন্টমেন্টস কমিশন জানিয়েছে, বরিস জনসনের তালিকায় থাকা ৮ জনকে হাউজ অফ লর্ডসের সদস্য পদ দিতে তাদের আপত্তি ছিল।ঋষি সুনাক প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে খুব সাবধান থাকেন। কিন্তু বরিস জনসনের রেখে যাওয়া তালিকা পরিবর্তনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। সোমবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি সরাসরি বললেন, বরিস জনসন তাঁকে অনৈতিক কাজ করতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি করেননি।

ঋষি সুনাক নৈতিকতার জায়গা থেকে ভূমিকা পালন করেছেন। হাউজ অফ লর্ডসের এপয়েন্টমেন্টস কমিশন যে ৮ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে, বরিস জনসন চান নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেই সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করতে। কিন্তু ঋষি সুনাক এমন আচরণ করতে চান না। সোমবার বরিস জনসন বিবিসির অনুরোধে ক্যামেরার সামনে আসতে কিংবা প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু তিনি একটি বক্তব্য দিয়েছেন।ঋষি সুনাক আবোল-তাবোল বলছেন। হাউজ অফ লর্ডস এপয়েন্টমেন্টস কমিশনের সিদ্ধান্তকে খারিজ করার দরকার ছিলনা। তাদেরকে কেবল তাদের যাচাই-বাছাইর কাজকে নবায়ন করতে বললেই হতো। এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।বরিস জনসন কিছুটা কৌশল করে বক্তব্যটি দিয়েছেন। কিন্তু বরিস জনসন কৌশলে কথা বলে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলেও যে আশায় থেকে হাউজ অফ লর্ডসের কাঙ্ক্ষিত সদস্য হতে পারেনি, সে বোঝে না পাওয়ার কষ্ট। তাদেরই একজন বরিস জনসনের মন্ত্রীসভার সদস্য নাদিন ডোরিস।এদিকে বরিস জনসনকে কেন্দ্র করে টোরি দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আবারও তীব্র হতে শুরু করেছে। দলের অনেকেই চান বরিস জনসন থেকে দলকে মুক্ত করতে।লেইবার পার্টি বলছে, ক্ষমতাসীন টোরি দলের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। বরিস জনসন অধ্যায় শেষ।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধির কারণে মহামারির সময়ে বরিস জনসন ও ঋষি সুনাকের মধ্যে দূরত্ব রাখতেই হতো। এখন এই দুই নেতা পরস্পরের আরও অনেক দূরে চলে গেছেন।

Advertisement