:: আহমদ রফিক :: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজারের বন্ধ দরজা খুলেছে- এ সংবাদে অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তিরা তাদের কর্মতৎপরতার সফলতাদৃষ্টে উল্লসিত। প্রাথমিক ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এটা সুসংবাদ, সন্দেহ নেই। কারণ, ২০১২ সাল (ভিন্ন সূত্রে ২০১৩ সাল) থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর অনেক দেনদরবারের ফলে সবেমাত্র সেই বন্ধ দুয়ার খুলেছে। ১৮ এপ্রিল ২০১৮ তাদের রাজ্যে বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগের সম্মতিতে আমিরাত কর্তৃপক্ষ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরেরর কাজ সম্পন্ন করেছে। সে অনুযায়ী ১৯টি খাতে বাংলাদেশের কর্মী নেবে আরব আমিরাত। সর্বনিম্ন বেতন ৬০০ ডলার (৫০ হাজার টাকা)।
সন্দেহ নেই, সংবাদটি বিদেশযাত্রাী কর্মীদের কাছে লোভনীয় প্রস্তাব হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কথা। পাঁচ বছরের বন্ধ দরজা খুলে যাওয়ার কারণে হয়তো বেকার বা বিদেশে ভালো উপার্জনের আকাঙ্ক্ষা-তাড়িতদের এর সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলো নজরে আসবে না। যেমন- এ স্মারক প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয় ধরনের কর্মীদের যাওয়ার কথা থাকলেও সংবাদে প্রকাশ- ‘প্রথম পর্যায়ে শুধু নারীরা যাবেন।’ বলেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
এখানেই রয়েছে অশনিসংকেত বা কালো মেঘের ছায়া। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম প্রশ্ন : কোন শ্রেণির নারীরা যাবেন এ কর্মযজ্ঞে যোগ দিতে এবং তা কী সংখ্যাগত হারে? কী অনুপাত দক্ষ ও অদক্ষ নারীকর্মীর, তা সংবাদপত্রের বিবরণে উল্লেখ করা হয়নি এবং সমঝোতা স্মারকে তা উল্লেখ করার কথাও বোধ হয় নয়।
তবে সমাজবাস্তবতার বিচারে ও পূর্বজদের যাতায়াতের অনুমানে বলা যায়- অদক্ষ, অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত নারীদের সংখ্যাই এ ক্ষেত্রে বেশি হওয়ার কথা। মন্ত্রী মহোদয়ের হয়তো সৌদি আরবে কর্মরত অদক্ষ বাংলাদেশি নারীদের যৌন হয়রানি ও অনাচারের দুর্দশার কথা মনে পড়েনি; কিন্তু আমাদের মনে আছে। থেকে থেকে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে নিম্নস্তরে কর্মরত নারীদের যৌন নিপীড়নের কাহিনী, অনেক যন্ত্রণাকাতর নারীর দেশে ফেরার আর্তি। ব্যক্তিগত সূত্রে এমন কয়েকটি ঘটনা ও গ্রামীণ তরুণী গৃহবধূর মর্মান্তিক লাঞ্ছনা এবং বেদনার কথা আমার জানা আছে।
আর এ কথাও সত্য যে, পত্রিকায় সব ঘটনার খবর প্রকাশ পায় না। পীড়ন ও লাঞ্ছনার সংখ্যাটি প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি। সমাজে অবস্থান ও লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে সত্য ঘটনা প্রকাশ করেন না। অদম্য চেষ্টায় পীড়িত নারী শেষ পর্যন্ত সল্ফ্ভ্রম হারিয়ে দেশে ফেরেন। পরিবারে তার মর্যাদার অবস্থান কোন পর্যায়ের, সে হিসাব কেউ নেয় না। আবার অসহায় কিছু সংখ্যক নারী হয়তো ফিরতে পারেন না। তাদের খবরও কেউ রাখে না। এর দায় কি আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নয়? কিংবা বেসরকারি খাতের এজেন্সিগুলোর? এ পর্যন্ত এসব অন্যায়ের কোনো সুরাহা বা সুবিচার হয়েছে কি? যতদূর জানি, হয়নি।
ঘটনার বাস্তবতা প্রমাণে একটি দৈনিকের সংবাদ প্রতিবেদন থেকে ছোট্ট তথ্য তুলে ধরা যাক। প্রতিবেদনের শিরোনাম- ‘দুয়ার খুলল আমিরাতের’, ‘জনশক্তি রফতানি’ (১৯ এপ্রিল, ২০১৮)।
ছোট এ প্রতিবেদনের শেষ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে :’বিনা খরচে নারী কর্মী পাঠাতে ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। মাসিক ৮০০ রিয়াল (১৬ হাজার টাকা) বেতনে প্রায় দেড় লাখ নারী তিন বছরে সৌদি গিয়েছেন। তবে অভিযোগ, নারীদের অনেকেই সেখানে নিপীড়িত হচ্ছেন। চার হাজার নির্যাতিত (নারী) কর্মী ফিরেছেন তিন বছরে। অভিবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. সিআর আবরার বলেছেন, সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে আমিরাতে যেন বাংলাদেশিরা নিরাপদ কর্মপরিবেশ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
দুই
এই ছোট্ট বক্তব্যে অনেক প্রশ্নের হিসাব মেলানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। প্রথমত, পূর্বোক্ত গবেষণা প্রতিবেদনের সংশ্নিষ্ট আরও তথ্য এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা দরকার ছিল অবস্থার পর্যবেক্ষণে এবং জানা দরকার, দেড় লাখ নারীর মধ্যে অন্যদের অবস্থা কেমন। মাত্র চার হাজার নারীর ঘরে ফেরা, তাও তিন বছরে! নিশ্চয়ই বহু চেষ্টা ও শ্রমে তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন।
দ্বিতীয়ত, এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য গরিষ্ঠসংখ্যক অবশিষ্ট নারীর অবস্থান জানা। তাদের মধ্যে কতজন অন্যরূপ লাঞ্ছনার শিকার এবং দেশে ফিরতে সচেষ্ট। এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটুকু কি পালন করেছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় বাংলাদেশি দূতাবাস? প্রায়ই দেখা যায়, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস এসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে বড় একটা আগ্রহী নয় অথবা উদাসীন। অসহায়, হতভাগ্য নারীদের মানসিক যন্ত্রণা তাদের স্পর্শ করে না।
তৃতীয়ত, মাসিক বেতনের অঙ্ক দেখে অনুমান করা চলে, যারা ওই বেতনে (১৬ হাজার টাকা) কাজ করতে গেছেন, তারা অদক্ষ, অশিক্ষিত কর্মী। তাই নিশ্চিত বলা যায়, এই নিম্নবর্গীয় দরিদ্র নারীরা অভাবের তাড়নায় বিদেশে অর্থ উপার্জনের জন্য গেছেন এবং তাদের পরিবার আর্থিক প্রয়োজনের কারণে তাদের বিদেশের অনিশ্চিত পরিবেশে কাজ করতে যেতে সম্মতি দিয়েছে বা ক্ষেত্রবিশেষে বাধ্য করেছে।
পুরুষশাসিত সমাজে- কি বাংলাদেশে, কি মধ্যপ্রাচ্যে নারী তো পণ্যশুল্ক্কা। তাদের কায়িক শ্রমে বিত্তহীন পরিবারের ব্যয় নির্বাহে সহায়তা মেলে। তাতে তার ব্যক্তিজীবন সল্ফ্ভ্রম বিনষ্ট হোক, তা নিয়ে অনেকে মাথা ঘামায় না। এ বিষয় নিয়ে অর্থাৎ বিদেশে অদক্ষ নারীদের বেহিসাবে পাঠানোর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কলাম লিখেছি। সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের তা নজরে পড়েছে বলে তো মনে হয় না।
আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রীদের বিদেশে নারী লাঞ্ছনার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে এবং এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করাও উচিত বলে মনে করি। কারণ, বিদেশে কাজ করতে গিয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া শুধু ব্যক্তিগত যন্ত্রণার বিষয়ই নয়, এর সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তিও জড়িত। তাই বিদেশি মুদ্রা অর্জন উপলক্ষে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সল্ফ্ভ্রম বিনষ্ট হতে দেওয়ার বেহিসাবী তৎপরতা বন্ধ হওয়া উচিত।
লক্ষ্য করার বিষয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনও এই আধুনিক যুগে নারীর মর্যাদা কানাকড়িতে বিকোয় অথবা কড়িতে হলেও বিদেশে নারীর মর্যাদাহানির বিষয় তাদের যুক্তিতর্ক, বিবেকে আঘাত করে না। যেন এটা দৈনন্দিন আহারের মতোই একটি বিষয়। আমরা অবাক হই ভেবে যে, এতদিন পরও স্বাধীন বাংলাদেশি সমাজে নারীর ব্যক্তিগত সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি এতটা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। দেশের নারী বা পুরুষ শাসকরা এ বিষয়ে আশ্চর্যরকম উদাসীন। বিশেষ করে তা যদি হয় নিম্নবর্গীয় সমাজের অন্তর্ভুক্ত। অবস্থা অনেকটা রবীন্দ্রনাথ-লিখিত ‘বেনিয়াকা লেড়কি’র মতোই। এই হলো আমাদের শিক্ষা, আধুনিকতা ও সমাজচেতনার নীতিগত দিক!
তিন.
পরিস্থিতির সার্বিক বিচারে কয়েকটি বিষয় সম্বন্ধে বিচার-ভাবনা ও সচেতনতা জরুরি বলে মনে করি। প্রথমত, কর্মসন্ধানে বিদেশে যাওয়ার উন্মাদনা বন্ধ করতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দেশের মাটিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, শিল্পকারখানা স্থাপনে আরও উদ্যোগী হয়ে দেশে বেকারত্বের হার কমানোর জরুরিভিত্তিক নীতি গ্রহণ করা।
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যের মতো দেশে অদক্ষ, অশিক্ষিত নারীদের নিম্নস্তরের কর্মী হিসেবে পাঠানো বন্ধ করা উচিত। তাদের পাঠাতে হলে যা দরকার সেটা হলো, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে, বিশেষ করে নারীদের নিয়ে দক্ষ শ্রমকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা। সে জন্য দরকার যত দ্রুত সম্ভব নানা মাত্রিক সংক্ষিপ্ত কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো, নতুন নতুন শিক্ষায়তন স্থাপন এবং বিশেষভাবে ওই সংক্ষিপ্ত কোর্সের শিক্ষা গ্রহণের জন্য নিম্নবর্গীয় নারীদের উৎসাহিত করা, প্রয়োজনে কিছু সুযোগ-সুবিধার আকর্ষণ নিশ্চিত করা।
পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে বহু আকাঙ্ক্ষিত শিক্ষার হার বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ অতীব জরুরি। ভাবা যায় কি, স্বাধীনতার চার দশকেরও বেশি সময়ে (৪৭ বছর) দেশের পুরো জনসংখ্যাকে শিক্ষিত করে তুলতে পারিনি আমরা! এটা আমাদের শাসনব্যবস্থার পক্ষে বিশাল এক ব্যর্থতা। কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্র বা রাজ্যের উদাহরণ টানতে গেলে লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার কথা। কাজেই দরকার সমাজে শিক্ষার দ্রুত বিস্তারে জরুরি কর্মসূচি (ক্রাশ প্রোগ্রাম) গ্রহণ করা।
একই সঙ্গে দরকার গত ষাটের দশকের মতো সমাজে জন্মনিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম দ্রুত পুনরুজ্জীবিত ও কার্যকর করে তোলা এবং সেই পুরনো স্লোগান বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা : ‘একটি পরিবারে দুটি সন্তানই যথেষ্ট’। একসময় এ দেশের নারী সমাজে জন্মনিয়ন্ত্রণের এই স্লোগান মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবর্গীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। কাজেই বিদেশে বাংলাদেশে জনশক্তি রফতানির বিস্তার ঘটায় আনন্দিত হওয়া যৌক্তিক হলেও কতটা নারীবান্ধব, তা নীতিনির্ধারক ও সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখতে হবে। আমি আগেও একাধিক লেখায় বলেছি, অশিক্ষিত ও অদক্ষ জনশক্তি কোনো দেশের জন্যই সম্পদ নয়, বরং বোঝা। সে বোঝা সম্পদে পরিণত করার দায় শাসকশ্রেণির এবং তা প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে। এ বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত, জনবান্ধব ও সুষ্ঠু নীতিনির্ধারণ এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন প্রধান বিচার্য বিষয়। সুষ্ঠু জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকারকে সঠিক পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- সমাজের ৫০ শতাংশ নারীর শিক্ষা, সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যাগুলোর যথাযথ সমাধান, যাতে পরিবারের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সমান মূল্যে শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে।
কথাগুলো বলার কারণ, আমাদের দেশে নারীদের নিরাপত্তা, শিক্ষা, সম্মান ও মর্যাদার বিষয়ে কি শাসকশ্রেণি, কি পুরুষশাসিত সমাজের এক ধরনের উদাসীনতা এবং অসচেতনতা লক্ষ্য করা যায়। বিদেশে নারীকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও তা ভিন্ন নয়। তাই বিদেশে কাজের নামে নারী পাচার একটি স্বীকৃত ঘটনা। অসৎ রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকাণ্ডও এদিক থেকে ভিন্ন নয়। এসব দিকে সরকার ও সংশ্নিষ্ট প্রশাসন যথেষ্ট নীতিনিষ্ঠ ও কঠোর বলে মনে হয় না।
তাই জনশক্তি রফতানির সমঝোতা স্মারক বা চুক্তির ক্ষেত্রে নারীবিষয়ক সমস্যাগুলো মাথায় রেখে তবেই চুক্তির ধারা নির্ধারণ করা উচিত। সে হিসাবে বলতে হয়, বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তন না ঘটা পর্যন্ত বিদেশে জনশক্তি তথা কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে পুরুষদের প্রাধান্য পাওয়া উচিত, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্র যখন মধ্যপ্রাচ্য বা আফ্রিকান দেশ। আর নারীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষিতরাই যেন বিদেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়। নিম্নবর্গীয় বা নিম্নবিত্তশ্রেণির নারীদের কর্মী হিসেবে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সল্ফ্ভ্রম রক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকারভিত্তিক গুরুত্বে বিবেচনায় রাখা জরুরি বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। বাঙালি নারীর সল্ফ্ভ্রমের বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নীতি হতে পারে না। সরকার এ বিষয়টি যেন মনে রাখে।
ভাষাসংগ্রামী, কবি, রবীন্দ্র গবেষক, প্রাবন্ধিক