বাঙালী বধু জুলি বেগম এবং তার সন্তান হত্যার বিচার শুরু : ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে স্বামীকে

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ১২ বছর আগে স্ত্রী ও নিস্পাপ দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে এক বাঙালী পাষন্ড পিতার।

https://britbangla24.com/news/75890

২০০৬ সালের ডিসেম্বরে, ইস্ট লন্ডনের বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের নেলসন স্ট্রীটে নিজের ঘরে স্ত্রী জুলি বেগম এবং দু সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যা করে ঘরের বেডরুমে তাকে রেখে দেওয়া হয়। হত্যার প্রায় এক মাস পর পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধা করে।
হত্যার পর থেকেই পলাতক ছিলেন স্বামী আব্দুস শুকুর। তাকে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিল মেট পুলিশ। দীর্ঘ ১২ বছর পর স্ত্রী এবং সন্তান হত্যার অভিযোগ পলাতক স্বামীকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।


২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ২৬ বছর বয়সী স্ত্রী জুলি বেগম এবং ৬ ও ৫ বছরের দু কন্যা সন্তান থানহা খানম আনিকা খানমের মরদেহ পাওয়া যায় তাদের নিজের ঘরে। তাদেরকে শাররীরিকভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন নিহত জুলি বেগমের স্বামী এবং দু সন্তানের পিতা মোহাম্মদ আব্দুস শুকুর।
২০১২ সালে ইমিগ্রেশন আইনের ভঙ্গের দায়ে ভারতে গ্রেফতার হন আব্দুস শুকুর। ২০১৩ সাল থেকে তাকে ইউকেতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মেট পুলিশের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গত শনিবার আব্দুস শুকুরকে লন্ডনে নিয়ে আসা হয়। আর রোববার তাকে জুলি বেগম এবং দু শিশু কন্যা হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। সোমবার তাকে হাজির করা হয় বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেইট কোর্টে। ১০ এপ্রিল তাকে বুধবার ৪৫ বছর বয়সী আব্দুস শুকুরকে ওল্ড বেইলি কোর্টে হাজির করার কথা রয়েছে। তাকে তিনটি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement