ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্টামফোর্ড ব্রিজে রোমাঞ্চকর এক পাগলাটে ম্যাচ উপহার দিয়েছে চেলসি-আয়াক্স। ম্যাচে দুই দলই ৪-৪ গোল করে সমতায় থেকে ম্যাচ শেষ করেছে। এছাড়া ম্যাচে দুটি করে পেনাল্টি ও আত্মঘাতী গোল হয়েছে। ম্যাচে রেফারি দুইবার লাল কার্ডও দেখিয়েছেন।
ঘরের মাঠে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের অধীনে নতুন চেলসির দিকে প্রত্যাশার পাল্লাটা বেশি ছিল। তবে গত মৌসুমে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা আয়াক্স আমস্টারডামের বিপক্ষে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ২য় মিনিটে আত্মঘাতী গোল দিয়ে গোল উৎসবের শুরু করে চেলসির টামি আব্রাহাম। ১-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়া চেলসি দুই মিনিট পরেই সমতায় ফেরে।
ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচকে ফাউল করায় ৪র্থ মিনিটের পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি চেলসির জর্জিনহো। ম্যাচের ২০তম মিনিটে জিয়েখের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে আয়াক্সকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন কুইন্সি প্রোমস। ৩৫তম মিনিটে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় সফরকারি আয়াক্স। তবে এই গোলটিও হয় আত্মঘাতী। জিয়েখের শট গোলবারে লেগে আঘাত করে চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগার মুখে।
এরপরে আশ্রয় নেয় চেলসির জালে। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে ভ্যান ডি বিকের গোলে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় আয়াক্স। কিন্তু এরপরে ৬৮-৬৯ তম এই দুই মিনিটের ব্যবধানে ড্যালি ব্লিন্ড ও জোয়েল ভিল্টম্যান এই দুইজন লালকার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়লে ৯জনের দলে পরিণত হয় আয়াক্স। আর ৯ জনের আয়াক্সের বিরুদ্ধে আরো ৩ গোল তুলে ৪-১ ব্যবধান থেকে ম্যাচে সমতা ফেরায় চেলসি। ১১ মিনিটের মধ্যে আয়াক্সের জালে তিন গোল শোধ করে চেলসি। আর তার শুরুটা অধিনায়ক সিজার অ্যাজপিলিকুয়েতাকে দিয়ে। ৬৩তম মিনিটে তার গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-২। ৭১তম মিনিটে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো পেনাল্টি থেকে গোল করেন জর্জিনহো। আর ৭৪তম মিনিটে ক্লাবের হয়ে প্রথম গোল করে ম্যাচে সমতা এনে দেন ১৯ বছর বয়সী রাইটব্যাক রিস জেমস। ৭৮তম মিনিটে অ্যাজপিলিকুয়েতা বল জালে জড়িয়েছেন আরেকবার। কিন্তু আব্রাহামের হ্যান্ডবলের কারণে ভিআরে গোলটি বাতিল করে দেয়া হয়।
এই ড্রয়ে দারুণ জমেছে গ্রুপ ‘এইচের’ লড়াই। চারটি করে ম্যাচ শেষে চেলসি, আয়াক্স ও ভ্যালেন্সিয়া তিন দলেরই পয়েন্ট সমান ৭।