জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনে মা, বাবা আর ভাই-বোনের মুখে হাসি ফোটাতে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে যান ফারহানা নামে এক কিশোরী। কিন্ত তিনি জানতেন না সেই স্বপ্ন তার জীবনে দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
আজ শনিবার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায়। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জগন্নাথপুর থানায় মেয়ের মা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা জগলু মিয়ার কিশোরী মেয়ে ফারহানা বেগম একই এলাকার তারিফ উল্লার ছেলে, স্থানীয় দালাল লিলু মিয়ার প্ররোচণায় চলতি বছরের ১০ মার্চ সৌদি আরবে যান। কিন্তু সৌদির রিয়াদ এরিয়ার সেমি এলাকায় কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে খারাপ কাজসহ অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে মেয়েটি জানায়। তাকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৫ দিন আগে সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার মেয়েটি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানায় সে খুবই বিপদে আছে। তাকে কোনো ধরনের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। তাকে যেন দালালের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয় বলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময় ফোনের লাইন কেটে যায়।
এ ঘটনার পর মেয়ের মা গত ২ ডিসেম্বর দালাল লিলু মিয়াকে তার মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বলেন। তখন দালাল লিলু মিয়া উত্তেজিত হয়ে কথা বলেন। নিরূপায় মেয়ের মা জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মেয়ে মা রাজিয়া বলেন, স্থানীয় দালালের ফাঁদে পড়ে আমার মেয়ে সৌদিতে যায়। আমার মেয়ে একদিন মুঠোফোনে আমাকে কল দিয়ে বলে, তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। বলেই সে কাঁদতে কাঁদতে ফোন কেটে দেয়।
তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের জীবন এখন বিপন্ন। মেয়ের চিন্তায় চোখে ঘুম নেই। আমার মেয়েকে ফিরে পেতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চাই।
অভিযুক্ত লিলু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাস বলেন, অভিযোগের আলোকে আমরা তদন্ত করব।