ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) কক্ষের লাইট নিভিয়ে ছাত্রলীগ একাংশ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত ভিপি নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
রোববার রাতে হাসপাতালে নুরের শয্যাপাশে উপস্থিত কয়েক শিক্ষার্থী প্রথমে উপাচার্যকে হাসপাতালে নুরের বেডে যেতে দেননি। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী সেখানে গেলেও তাদের উপস্থিতিতে পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
নুরকে দেখে হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় উপাচার্য ও প্রক্টরকে ‘ভারতের দালাল’ ও ‘নির্লজ্জ’ বলে গালি দেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা বলেন, আপনারা শিক্ষকতার সম্মানকে ধূলিসাৎ করেছেন। আপনারা সরকারের ও ছাত্রলীগের পক্ষে আর কত দালালি করবেন। দায়িত্ব না নিতে পারলে পদ ছেড়ে দিন।
অপর এক শিক্ষার্থী চিৎকার করে বলেন, ‘নুর ভাইয়ের কক্ষে দরজা লাগানো ছিল। সাদ্দাম ভাই আর সঞ্জিত ভাই সেটি খুলছে, কেচিগেটটা খোলার পরই মারধর হয়েছে। ওরা মারা এনশিওর (নিশ্চিত) করে তার পর বের হয়েছে স্যার। ওরা ভাবছে, নুর মরে গেছে, তার পর সেখান থেকে গেছে।’
হাসপাতাল ত্যাগ করার আগে উপাচার্য নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। বলেন, ‘আমি জেনেছি– সুপরিকল্পিতভাবে বড় আকারের একটা ঘটনা ঘটানোর প্রয়াস ছিল। আমি কিছু ছবি দেখলাম, বহিরাগত– ওরা কারা? তোমাকে আটকে রেখে একটা লাশ চেয়েছিল বোধহয়। তুমি বোধহয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যাচ্ছ।’
এ সময় উপাচার্যের কাছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন সিফাত বলেন, ডাকসু ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর হামলার সময় আমি প্রক্টর স্যারের কাছে বিচারের দাবি নিয়ে গেলে তিনি আমাকে বলেন, ‘তুমি বেশি নেতা হয়ে যাচ্ছ। তোমাকে বহিষ্কার করব।’
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী, তিনি আমাকে রক্ষা না করে উল্টো বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন, পুলিশে দেয়ার কথা বলেছেন। একজন শিক্ষক ও দায়িত্বশীল হিসেবে তিনি এটি করতে পারেন না।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘আমরা আপনাদের চাই না। যদি মনে হয়, আপনারা এর বিচার করতে পারবেন না, দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, তা হলে পদত্যাগ করুন।’
প্রসঙ্গত রোববার ডাকসুতে ভিপি নুরের কক্ষে ঢোকে লাইট নিভিয়ে তাকে ও তার সঙ্গীদের বেধড়ক মারধর করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ভিপি নুরসহ আহতদের দাবি– ছাত্রলীগও এ হামলায় সরাসরি জড়িত। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ফারাবীর অবস্থা সংকটাপন্ন।