অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, বাজার অর্থনীতিতে সাধারণত যেসব চাহিদার জন্য খরচ করা যায় তার ভিত্তিতে যোগান তৈরি হয়। কিন্তু স্যার আবেদ ও ড. মুহম্মদ ইউনূস এই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন।
তারা প্রমাণ করেছেন যে, প্রান্তিক অঞ্চলের দরিদ্রতম কৃষকের তার সন্তানের জন্য শিক্ষার চাহিদা রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি হিসেবে আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে এক দশক কাজ করার সুযোগ হয়েছে। যে-দেশ যে-বিষয়ের শিক্ষায় ভাল করেছে, সেই দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে পাঠ্যক্রম সাজিয়েছেন। তিনি চেয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ব্র্যাক-এর সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে দীর্ঘজীবী উত্তরাধিকার। প্রধান আলোচক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, তিনি বটম টু টপ’ ধারণার ভিত্তিতে কাজ করতেন, সম্মিলিত প্রয়াস এবং কর্মীদের সমান গুরুত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে জোর দিতেন।
প্যানেল আলোচক ব্র্যাক গভর্নিং বডি’র চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, স্যার আবেদ ত্রাণ কর্মকা- থেকে নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিশু মৃত্যু কমানো, তারপর শিশুদের জন্য শিক্ষার প্রসারে মনোযোগী হয়েছেন। সমাজের প্রয়োজনে ক্রমান্বয়ে তার উদ্যোগ বড় করেছেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি শুধু সনদ নয়, শিক্ষার বহুমুখী উদ্দেশ্যের-দক্ষতার বৃদ্ধি, ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশের উপর গুরুত্বপরোপ করতেন। তার শিক্ষা ও সামগ্রিক উন্নয়ন চিন্তার কেন্দ্রে ছিল মানুষ।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ বলেন, ব্র্যাক একটি ‘শিখনমূলক’(লার্নিং) প্রতিষ্ঠান যারা প্রতিটি ছোট প্রকল্প থেকে শিখে, গবেষণা করে বড় প্রকল্পের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। গ্রামের মানুষ শিশুদের শিক্ষার জন্য খরচ বহন করতে পারে না। তাই তিনি আন্তর্জাতিক অনুদানের ব্যবস্থা করেন। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, স্যার আবেদ শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন এডুকেশন ওয়াচ যারা প্রতিবছর বিভিন্ন কার্যকর গবেষণা প্রকাশ করেছে। শিক্ষাবিষয়ক বেসরকারি উদ্যোগসমূহের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন গণসাক্ষরতা অভিযান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আহরার আহমদ।