আগুনের ঝুঁকিতে আরো শতাধিক বহুতল ভবন – বললেন টেরিজা মে ; গ্রেনফেল অগ্নিকাণ্ড ‘কঠোর ব্যয় সংকোচনের মারাত্মক ফল’ – দাবি জেরেমি করবিনের
ফায়ার সেইফটি টেস্ট-এ ব্যর্থ হওয়ায় ইংল্যান্ডের ৩৭ টি লোকাল কাউন্সিলের ১২০ টি বহুতল ভবনের ক্ল্যাডিং আগুন থেকে নিরাপদ নয় বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশেষ প্রতিনিধি : গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে এ পর্যন্ত দেওয়া সমস্ত নমুনা অগ্নি নিরাপত্তা যাচাই-এ ব্যর্থ হওয়ায়, ব্যর্থতার হার ১০০% বলে কমন্সে জানালেন টেরিজা মে। একই সঙ্গে ‘অগ্নি নিরাপত্তা যাচাই চালিয়ে যাওয়ার’ জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন গুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
advertising ………………………………………………………………………………
এদিকে, ভয়াবহ গ্রেনফেল অগ্নিকাণ্ড ‘কঠোর ব্যয় সংকোচনের মারাত্মক পরিণতি’কে তুলে ধরেছে, এবং একে “জাগরণের ডাক” হিসেবে বিবেচনা করে কাজ করা উচিত বলে দাবি করেছেন জেরেমি করবিন। এছাড়াও নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত প্রথম পিএমকিউজ (প্রাইম মিনিস্টার’স কোয়েশ্চনস)-এর সময় বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কে নেমে এই অগ্নিকান্ডকে ‘ওয়ার্কিং ক্লাস কমিউনিটির প্রতি অবজ্ঞা’ এবং ‘অর্থনৈতিক বিধিনিষেধের ভয়ানক পরিণতি’ বলে অভিহিত করেছেন লেবার নেতা।
সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংবাদ
Grenfell Tower: Fire started in Hotpoint fridge : হটপয়েন্ট ফ্রিজ থেকে আগুনের সুত্রপাত
Grenfell Tower Fire : 79 people dead : ৭৯ জনের মৃত্যু
নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে আরো শতাধিক হাই-রাইজ বিল্ডিং – প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর তার প্রতি ছুঁড়ে দেওয়া জেরেমির সব প্রশ্নই ছিল গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকান্ডকে ঘিরে।
কনসারভেটিভ বেঞ্চ থেকে কারো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় লেবার দলের নেতা বলেন, এমনটা ঘটেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বাজেট কাটের কারণে ভবন নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ইন্সপেক্টর না থাকার ফলে। পে ক্যাপ-এর ফলে কর্মী নিয়োগে সংকোচন নীতির কারণে দুর্ঘটনাস্থলে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক ফায়ার ফাইটার ছিল। আর তার ‘মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের সবাইকে’। ‘গ্রেনফেল টাওয়ার ট্র্যাজেডিতে যা প্রকাশিত হয়েছে সেটা কঠোর ব্যয় সংকোচনের সর্বনাশা প্রতিফল’।
সকল সম্প্রদায় যেন তাদের নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ বোধ করতে পারে সেজন্য নিয়মমাফিক নিরাপত্তা যাচাই, ঝুঁকিপূর্ণ ক্ল্যাডিং অপসারণ, অগ্নিনির্বাপক স্প্রিঙ্কলার স্থাপন এবং ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে পর্যাপ্ত তহবিল প্রদানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান জেরেমি করবিন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধীর স্থির’ ভাবেই বলা যেত, ‘অঙ্গুলি নির্দেশের দরকার ছিল না। টনি ব্লেয়ারের লেবার সরকারের অধীনেই টাওয়ার ব্লকগুলির ক্ল্যাডিং বা আচ্ছাদনের শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, এই পুরো সমস্যাটি গড়ে উঠেছে কয়েক দশক ধরে একের পর এক সরকার ও বিভিন্ন কাউন্সিলের অধীনে।
মিসেস মে সংসদে এমপিদের বলেন, শিগগিরই এই দুর্ঘটনার সার্বজনীন তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন বিচারপতির নাম ঘোষণার প্রত্যাশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, টাওয়ারের বাসিন্দাদের জন্য ২৪২ টি অস্থায়ী প্রপার্টি (আশ্রয়স্থল) চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩২ টি পরিবারের চাহিদা নিরুপন করা হয়েছে এবং এরইমধ্যে ৬৫ টি অস্থায়ী আবাসস্থলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার প্রায় সোয়া (১.২৫ মিলিয়ন) মিলিয়ন পাউন্ড বিবেচনামূলক অর্থ প্রদান করেছে। এছাড়া এবং স্থানীয় দাতব্য সংস্থা, ট্রাস্ট এবং ফাউন্ডেশন গুলোকে সরকার আরো ১ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন টেরিজা মে।
১৪ জুন অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৭৯ জন মানুষ নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Grenfell Tower fire: More high-rises fail fire safety tests
Cladding from 120 high-rise buildings in 37 local authority areas in England has now failed fire safety tests, the prime minister has said.
Theresa May told the Commons it was a 100% failure rate, as all of the samples submitted so far since the Grenfell Tower fire had failed.
She urged local authorities and housing associations to “get on with the fire safety checks”.
At least 79 people are feared to have been killed in the blaze on 14 June.
Meanwhile, regulator NHS Improvement said it has written to all NHS trusts and foundation trusts to ask them to carry out urgent fire safety checks.
There are 36 organisations that need additional support to find out if they have cladding similar to Grenfell, it said, and fire safety tests on building material is expected to be completed “by early next week”.
Mrs May told MPs that she expects to name a judge to head the public inquiry into the disaster soon.
She said 282 temporary properties had been identified for residents of the tower, 132 families have had their needs assessed and there have been 65 offers of temporary accommodation.
The government has made almost £1.25m of discretionary payments and will be giving an extra £1m to a local group of charities, trusts and foundations, Mrs May said.
Labour leader Jeremy Corbyn said the tragedy had “exposed the disastrous effect of austerity” and said: “Fewer inspectors, fewer building control inspectors, fewer planning inspectors – we all pay a price.”
The blaze, which started in a fridge-freezer, destroyed 151 homes in the north Kensington block and in the surrounding area of the London Borough of Kensington and Chelsea.
Questions were raised about the cladding used on Grenfell in the immediate aftermath of the disaster and a nation-wide operation has taken place to identify and test buildings with similar cladding.
It has emerged that London Fire Brigade issued a warning to all 33 London councils about panels attached to the exterior of buildings in May this year, in a letter seen by the BBC.
On Tuesday, Mrs May said there should be a “major national investigation” into the use of cladding on high-rise towers.#Source#BBC#