ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : লন্ডনে অব্যাহত এসিড হামলা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট আইন পরিবর্তনের কথা ভাবছে সরকার। হামলাকারীর যাবজ্জীবন জেলদন্ড এবং এসিড হামলা প্রতিরোধে পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার বিধান রেখে নতুন আইন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হোম সেক্রেটারী অ্যাম্বার রুড। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিট থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় নর্থ লন্ডন ও ইস্ট লন্ডনে ৬টি এডিস হামলার পর এসিড হামলা প্রতিরোধে পুরনো আইন পর্যালোচনা করার পাশাপাশি কঠোর শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইনের ঘোষণা দেন তিনি। নতুন আইন অনুযায়ী, এসিড এবং এসিড জাতীয় অন্যান্য দ্রব্যকে বিপজ্জনক অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। একই সঙ্গে এসিড বেচাকেনার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং পদ্ধতি চালু করার কথাও ভাবছে সরকার। হোম অফিস এবং মিনিষ্ট্র অব জাস্টিনের সমন্বয়ে এসব নতুন আইন করার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, এসিড বা এসিড জাতীয় দ্রব্য কাউকে আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ ৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে।
এসিড হামলায় ঠান্ডা পানি সহায়ক-বললেন হামলার শিকার জাবেদ হোসাইন
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে গত ৬ মাসে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে প্রায় ৪শ এসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসিড আতঙ্ক সবচাইতে বেশি লন্ডনে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩৭ মিনিটের ভেতরে ইস্ট লন্ডনের হ্যাকনিতে ৪টি এবং নর্থ লন্ডনের ইজলিংটনে ১ টি এসিড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরার হামলার পর মোটরবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ইস্ট লন্ডনে প্রায় সোয়া এক ঘন্টার ভেতরে ৫টি এসিড হামলার ঘটনার, একটি হামলার শিকার হলেন টাওয়ার হ্যামলেটসের বিৃকলেনের বাসিন্দা জাবেদ হোসাইন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে হ্যাকনি রোডে হামলার শিকার হন তিনি। উবার ইটসের ডিউটি শেষ করে তখন বাসায় ফিরছিলেন। তার মুখে প্রথম এসিড ছুঁড়ে মারে। ব্রিটবাংলাকে তিনি জানান, মাথায় হ্যালমেট থাকার পরেও মুখে কি যেন এসে পড়েছে বলে মনে হওয়ায় পাশে থাকিয়ে দেখেন, মোটরবাইকে বসা দুই কিশোর। একজনের হাতে একটি বোতল। তারা তার তাঁর দিকে আবার তেড়ে আসছে। ভয়ে নিজের মোটরবাইক ফেলে দৌঁড়ে পাশের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানে একজন মহিলাকে পানি দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরমধ্যে ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ওয়াটস্যাপ গ্রুপে ম্যাসেজ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্যরাও এসে হাজির হন। পুলিশও আসে। সবাই মিলে কয়েক লিটার পানি ঢালের তার মুখে ও শরীরে। লন্ডনে ঘনঘন এসিড হামলার পর এই পানি থিওরি নিজেই খুঁেজ বের করেন বলে জানান তিনি। এসিড নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে যতো বেশি সম্ভব ঠান্ডা পানি ঢালা উচিত বলে জানান তিনি। ৩২ বছর বয়সী জাবেদ ৪ বছর ধরে উবার ইটস ডেলিভারির কাজ করছেন। এসিড নিক্ষেপের পর তাঁর সংগঠন, কর্মস্থল এবং টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর অহিদ আহমদ বিশেষভাবে সহযোগিতা করছেন বলে জানান তিনি। এদিকে এসিড নিক্ষেপ এবং ছুরিকাঘাতের ঘটনা যেনো পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লন্ডনে। শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে ইস্ট লন্ডনের ডেগেনহ্যামে ঘটে আরেকটি এসডি হামলার ঘটনা। এই হামলার পরেও হামলাকারীরা মোটরবাইক নিয়ে যায়। অন্যদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৃকলেনে একটি ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর রাত আনুমামিন সোয়া বারটার দিকে সাউথ লন্ডনের গিনউইচে অপর ছুরিকাঘাতের ঘটনায় একজন মৃত্যুবরণ করেন। নাইফের পর এসিড হামলার বৃদ্ধির ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করেন জাবেদ হোসেন। সাউন্ড
নাইফ ক্রাইম প্রতিরোধ এবং এসিড কেনাবেচা এবং বহনে আরো কঠোরতা আনার জন্যে ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছেন ইস্টহ্যাম এবং ওয়েস্টহ্যামের এই দুই এমপি। এই ক্যাম্পেইনের পক্ষে সম্মতি আছে লিবডেমসহ অন্যান্য রাজনীতিকদেরও। বৃহস্পতিবারের টানা ৫ এসিড হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ১৫ ও ১৬ বছরের দু’ কিশোরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরমধ্যে ১৫ বছরের কিশোরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। আর ১৬ বছরের কিশোরকে বৃহস্পতিবারের এসিড হামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে গত ২১শে জুন নিউহ্যামে ইউনির্ভাসিটি পড়–য়া রাশেম খান ও তার কাজিনের উপর এসিড হামলার অভিযোগে এক শ্বেতাঙ্গ পুরুষকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।
এসিড হামলা প্রতিরোধ এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের দাবীদে আগামী মঙ্গলবার বিকাল ২টায় পার্লামেন্ট হাউসের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন লন্ডন।
London acid attacks: Offenders ‘could be jailed for life
People who carry out horrific acid attacks could be jailed for life as part of plans for a massive Government crackdown.
Home Secretary Amber Rudd announced a review will be undertaken into punishments for the brutal attacks after six moped riders were doused with corrosive liquid on London’s streets in just 24 hours.
Ms Rudd said she wanted attackers who use noxious liquids as a weapon to “feel the full force of the law” in the proposed overhaul of current sentence guidelines.
Proposals to ensure acid and other corrosive substances can be classed as dangerous weapons are among the changes suggested.
The Government will also aim to put in place measures which restrict the sale of such substances by retailers, Ms Rudd said.
A string of five assaults were allegedly carried out in east and north London on Thursday and have since been linked by Scotland Yard. On Friday another acid attack was reported in Dagenham, east London.
The Home Office said it will work with police and the Ministry of Justice to assess whether powers available to the courts, including sentencing, are sufficient.
Mrs Rudd wrote: “Today I am announcing an action plan to tackle acid attacks. It will include a wide-ranging review of the law enforcement and criminal justice response, of existing legislation, of access to harmful products and of the support offered to victims.”
Possession of acid or other corrosive substances with the intention to do harm can already be treated as possession of an offensive weapon under the Prevention of Crime Act, which carries a four-year maximum penalty.
The Crown Prosecution Service’s (CPS) guidance to prosecutors will now be reviewed to ensure it makes clear that acid and other corrosive substances can be classed as dangerous weapons, and what is required to prove intent.
New guidance will also be issued to police officers on preventing attacks, searching potential attackers for harmful substances and responding to victims at the scene.
More than 400 acid or corrosive substance attacks were carried out in the six months up to April 2017, according to figures from 39 forces in England and Wales.
Bleach, ammonia and acid were the most commonly used substances, the Home Office said.
Sarah Newton, minister for crime, safeguarding and vulnerability, will outline the Government’s strategy on combating acid attacks in the Commons on Monday.
In an earlier statement, Ms Rudd said: “Acid attacks are horrific crimes which have a devastating effect on victims, both physically and emotionally.
“It is vital that we do everything we can to prevent these sickening attacks happening in the first place.
“We must also ensure that the police and other emergency services are able to respond as effectively as possible, that sentences reflect the seriousness of the offences and victims are given the immediate support they need.”