ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর ৪ দেশে ২১টি ঠিকানা পরিবর্তন করে প্রায় ১০ বছর পরে লন্ডনে এসে ডাক্তারি পাশ করেছেন এক সিরিয়ান রিফিউজি। ২৭ বছর বয়সী তিরাজ ব্রিমো লন্ডনের সেন্ট জর্জ ইউনির্ভাসিটি থেকে ইমার্জেন্সি মেডিসিন অথবা ট্রুমা সার্জেরীতে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন তিনি। লন্ডন মেয়র সাদিক খান তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ডক্টর ব্রিমো, ১৭ বছর বয়সে আলেপ্পোর একটি স্কুলে মেডিক্যাল পড়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার ৬ বছরের কোর্স শেষ হবার প্রায় দশ মাস আগে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পাড়ি জমান লেবাননে। এরপর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইজিপ্টে বসবাস শুরু করেন তিনি। সেখানে দুবার চেষ্টা করেও ডাক্তারি পড়া শেষ করতে পারেননি। এর আগে তাকে ইজিপ্ট ত্যাগ করতে হয়। ৪ বছর আগে ইউকেতে এসে কয়েকটি মেডিক্যাল স্কুলে আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হন ডক্টর ব্রিমো। কেউ কেউ কোর্সের ভিন্নতার কারণে তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। আবার কেউ কেউ এ লেভেল পুরনায় করার পরামর্শ দিলেন। তবে সেন্ট জর্জে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়। সেন্ট জর্জ ইউনির্ভাসিটির মেডিসিন কোর্সের ডাইরেক্টর ডক্টর ফিলিপা টিস্টোভাইন জানান, তিরাজের স্বাক্ষাতকার নেওয়ার পর তাকে সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ধরনের সংকোচ বোধ করেননি তিনি। ইউকেতে এসাইলাম আবেদনের চার বছরের মাথায় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ডক্টর তিরাজ। ক্রয়ডন ইউনিভার্সিটতে কাজ এবং স্টুডেন্ট লোনের মাধ্যমে নিজের পড়া লেখার ব্যয় বহন করেন ডক্টর তিরাজ ব্রিমো। তিনি বর্তমানে স্টাফোর্ডের কাউন্টি হাসপাতালে জুনিয়র ডক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তার এই সংগ্রামী জীবনের কথা জীবনেও ভুলবেন না বলে জানিয়েছেন ডক্টর ব্রিমো।
Syrian refugee graduates as a doctor in London after 10 years and four countries in medical school
A refugee from Syria has graduated as a doctor in London 10 years, four countries and 21 homes after first starting medical school.
Dr Tirej Brimo, 27, was congratulated by Mayor Sadiq Khan at his graduation from St George’s, University of London. He wants to specialise in emergency medicine or trauma surgery.
Dr Brimo said: “Now I know what pain is, I am so ready to start my new role as a doctor and I am so ready to look after others’ loved ones. I promise I will do it with a heart full of love and a smile full of hope.”
He made it to the UK four years ago and applied to every medical school in the country to fulfil his dream of becoming a doctor. He was rejected by most because of differences in the courses. Some suggested he retake his A-levels.
However, St George’s offered him a place after interviewing him and he was allowed to start the five-year course in the third year. Dr Philippa Tostevin, the university’s medicine course director and reader in surgical education, said: “I interviewed Tirej when he applied to St George’s and I did not hesitate to offer him a place. I remember the passion for medicine that he demonstrated at that interview and I am so proud of what he has achieved. I am truly delighted to see him graduate this year.”
Dr Brimo, whose mother, brother and sister have since made it to Britain, told the Standard: “I have learnt that the UK is a fair place. If you put the effort in you get a result. I feel attached to the British community. It welcomed me, gave me love and believed in me.
Dr Brimo’s graduation ceremony was held four years to the day after he applied for asylum in Croydon. He said: “To move from a moment of non-trust where your fingerprints are being taken, to a moment where you are not only trusted, but trusted with people’s lives and health, is an honour and a big responsibility. I am so proud.”
Dr Brimo paid for his studies by working as a phlebotomist at Croydon University Hospital and also had a student loan. He is now working as a junior doctor at County Hospital in Stafford. Speaking about his time as a refugee, he said: “I still remember the way I cried when I first realised that everything was lost and I became just a number. We all became numbers — it was not only me.