ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : ইংল্যান্ডের বহুতল ভবনগুলোর ক্লাডিং ব্যবহার নিয়ে বড় ধরনের জাতীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। গ্রেনফেল টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর বহুতল ভবনগুলোতে ক্লাডিং আতঙ্ক দেখা দেয়। গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ডে প্রায় ৭৯ জনের মৃত্যু হয়। পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় ২৪ ভবনের প্রায় সব। গত ১৩ জুন মধ্যরাতে ৪ তলায় একটি হটপয়েন্ট ফ্রিজ থেকে আগুনের সুত্রপাত হলেও মুহুর্তে আগুনের বহ্নিশিখা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিল্ডিংজুড়ে। ১৯৭৪ সালের প্রতিষ্ঠিত ভবনটির ক্লাডিং করা ছিল। সস্তা ধরের এই ক্লাডিংয়ের ফলেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো ইউকেতে প্রায় ৪ হাজারের মতো পুরনো বহুতল ভবন আছে। গ্রেনফেলে টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পর সেইসব ভবনগুলোতে একেএকে ফায়ার সেইফটি পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের প্রায় ৩২টি বারাতে ৯৫টি বহুতল ভবন ফায়ার সেইফটি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে পারেনি শুধুমাত্র ক্লাডিংয়ের কারণে। ক্লাডিং অর্থাৎ প্লাস্টিকের এই বস্তটি ভবনের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যে ভেতরে এবং বাইরের ওয়াল ও জানালার ফেইমে ব্যবহার করা হয়। দামী ক্লাডিংয়ে আগুনের ভয় নেই। সস্তা ক্লাডিংয়ে আগুন সহজে ছড়িয়ে পড়ে। সস্তা ক্লাডিং দিয়ে পুরনো ভবনের সৌন্দর্য বাড়ানোর ফলে সেগুলোতে আগুনের ঝুঁকিও বেড়েছে। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ক্লাডিং ইস্যুতে জাতীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। এর মাধ্যমে গ্রেনফেল টাওয়ারের পাবলিক ইনকোয়ারীর দ্বিতীয় দফার ফলাফলও বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে।