সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ-সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭০ ও শান্ত ৫৩ রান করেন। প্রথম দুই ওয়ানডের মত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও টস জিতেন স্বাগতিক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানের মধ্যে লিটন দাসকে নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তামিম।প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে লিটন খালি হাতে ও তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তামিমকে ১১ রানে সাজঘওে পাঠান ইংল্যান্ডের পেসার স্যাম কারান।
শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরাতে সাবধানে এগুতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ৭৮ বল খেলে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তারা। ২২তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১’শতে নেন শান্ত ও মুশফিক। ২৪তম ওভারে ১৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করতে ৭০ বল খেলেন শান্ত। এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক করেছিলেন তিনি। ২৫তম ওভারে মুশফিকের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন শান্ত। ৫টি চারে ৭১ বলে ৫৩ রান করেন শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৮ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও মুশফিক। শান্ত ফেরার ওভারেই ২৪২ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৩তম অর্ধশতকের দেখা পান মুশফিক। ৬৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরির পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশি। ৩৩তম ওভারে ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদের গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। ৬টি চারে ৯৩ বলে ৭০ রান করেন তিনি। মুশফিকের বিদায়ে উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লং-অন দিয়ে ছক্কা মারার এক বল পরই রশিদের শিকার হন তিনি। ৮ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।মাহমুদুল্লাহ ফেরার পর আফিফ হোসেনকে নিয়ে জুটি গড়ার ৫৫ বল খেলে ৫২তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন সাকিব। এরপর আফিফ ১৫, মেহেদি হাসান মিরাজ ৫ ও তাইজুল ইসলাম ২ রানে আউট হলেও বাংলাদেশকে আড়াইশ রান এনে দেয়ার পথেই ছিলেন সাকিব।কিন্তু ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ২৪৬ রানে নবম ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের পেসার জোফরা আর্চারের বলে আউট হন সাকিব। ৭টি চারে ৭১ বলে ৭৫ রান করেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে শিকার করে বাংলাদেশকে ২৪৬ রানে গুটিয়ে দেন আর্চার। আর্চার ৩টি, কারান ও রশিদ ২টি করে উইকেট নেন।