ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ বলে কালের কণ্ঠ নিশ্চিত করেছেন করোনা আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থী।
আজ রবিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) থেকে তার ‘করোনা নেগেটিভ’ বলে জানানো হয়। এর আগে ২২ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তার স্যাম্পল সংগ্রহ করে আইইডিসিআর।
গত ৭ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ বলে জানায় আইইডিসিআর। করোনা সনাক্তের ১৫ দিনের মাথায় পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার প্রথমে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। তারপর সাত দিন এইভাবেই বাসায় থাকি। তখন মনে হয় করোনাভাইরাস হয়েছে কি না টেস্ট করে দেখি। এরপর আইইডিসিআর কল করে করোনা পরীক্ষা করায়। দুদিন পর রিপোর্ট দেয় দেখানে আমার করোনা পজিটিভ আসে। তবে তখন আমার শ্বাসকষ্ট না থাকায় বাসায় আইসোলেশনে থাকি। আইইডিসিআর তেমন কোন ঔষধ খেতে বলে না। তখন নিজে লক্ষন অনুযায়ী নরমাল ঔষধ খেতাম। তিনবার গরম পানি গড়গড় করতাম। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার, ফলমূল খেতাম। লেবুর চা পান করতাম।
তিনি আরো বলেন, আমার যখন করোনা পজিটিভ আসলো তখন বাসায় আইসোলেশনে থাকতাম। তখন নিজের খাবার, কাপড় ব্যবহারের সবকিছু পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা করে ফেলি। এতে করে আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদে থাকে। তাদের মধ্যে এই রোগের সংক্রামণ হয়নি। এসময় নিজে আল্লাহ তালার কাছে ইবাদত করতাম। তাছাড়া বাকি সময় বিভিন্ন গল্পের বই পড়ে সময় পার করতাম।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত অন্য রোগীদের উদ্দেশ্যে করোনাভাইরাসে জয়ী জবি শিক্ষার্থী বলেন, করোনাভাইরাস হলেই যে মরে যাব এমন কিছু ভাবা যাবেনা। সব সময় মনোবল রাখতে হবে। কোনভাবেই হতাশ হওয়া যাবেনা। তাহলে করোনাভাইরাস থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, যারা এখনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়নি। তারা যেন সামাজিক দুরত্ব মেনে চলে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করনীয় গুলো ভাবে অনুসরণ করে। তাহলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।