বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরের উত্তর লনের বাগানে একটি ‘হানি লোকাস্ট’ গাছের চারা রোপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে তার বাণীসংবলিত একটি বেঞ্চও উন্মুক্ত করেছেন তিনি।‘হানি লোকাস্ট’ একটি শোভাবর্ধনকারী গাছ, যা বহু বছর বাঁচে এবং ভালো মানের কাঠ পাওয়া যায়। এ গাছের টিকে থাকার ক্ষমতা ভালো বলে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন পার্কে এ গাছ লাগানো হয়।বেঞ্চ উৎসর্গ এবং সেই সাথে বৃক্ষ রোপনকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সবসময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই ছিল তার এই সংগ্রাম। সেখানে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথাও যেমন তিনি ভেবেছেন, তেমনি সারাবিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও তিনি বলেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব করো সাথে বৈরিতা নয়, এটাই ছিল তার লক্ষ্য। কারণ, এতে করেই শান্তি আসবে এবং শান্তির সন্ধানেই তিনি ছিলেন। শান্তির জন্যই তিনি সংগ্রাম করেছেন। আর শান্তি ছাড়া কখনো কোন দেশের উন্নতি হয় না।এটা আমরা খুব ভালো বুঝি, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই উন্নতি হওয়া সম্ভব, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ এখানে একটি বৃক্ষরোপন করা হলো সেই সেপ্টেম্বর মাসে যে মাসে জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় (১৭ সেপ্টেম্বর) এবং তার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসঙ্ঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন (২৫ সেপ্টেম্বর)। কাজেই, সেই মাসে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরের উত্তরের লনের বাগানে বৃক্ষরোপন করা হলো এবং একটি চেয়ার উৎসর্গ করা হলো। এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বৃক্ষ যেমন পরিবেশ রক্ষা করে তেমনি মানুষকে খাদ্য ও ছায়া দেয়। আর মানুষের জীবনকেও রক্ষা করে।এজন্য তিনি জাতিসঙ্ঘেন আন্ডার সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানান।এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রোববার জাতিসঙ্ঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি হয়ে নিউইয়র্ক পৌঁছান।